পাকিস্তানে বন্দুকযুদ্ধে সেনাবাহিনীর ৪ সদস্য ও ১৫ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। শনিবার খাইবার পাখতুনখাওয়ায় পৃথক দুটি ঘটনায় তারা নিহত হন। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) এসব তথ্য জানিয়েছে।
আইএসপিআরের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে খাইবার পাখতুনখাওয়া ডেরা ইসমাইল খান জেলার হাতালা এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এতে ৯ সন্ত্রাসী নিহত হয়। নিহতরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিলেন বলেও দাবি করেছে আইএসপিআর।
এরপর দ্বিতীয় অভিযান চালানো হয় উত্তর ওয়াজিরিস্তানের মিরানশাহ এলাকায়। সেখানে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৬ সন্ত্রাসী ও চার সেনা সদস্য নিহত হন। সেনা সদস্যরা হলেন লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ হাসান অর্জাফ (২১), নায়েব সুবেদার মোহাম্মদ বিলাল (৩৯), সিপাহি ফারহাত উল্লাহ (২৭) ও সিপাহি হিমত খান (২৯)।
![পাকিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ৪ সৈন্য ও ১৫ সন্ত্রাসী নিহত](https://cdn.dhakapost.com/media/imgAll/BG/2025February/pakistan-20250216141938.jpg)
আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, খাইবার পাখতুনখাওয়া এলাকাটি সন্ত্রাসীমুক্ত করতে ‘অপারেশন স্যানিটাইজেশন’ পরিচালনা করা হচ্ছে। এই অপারেশনের অংশ হিসেবে গতকাল দুটি জায়গায় অভিযান চালানো হয়।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ অভিযানে সেনাবাহিনীর সফলতা ও সেনাদের আত্মত্যাগকে সম্মান জানিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে আসিফ আলী জারদারি বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের সম্পূর্ণ নির্মূল না করা পর্যন্ত অভিযান চলবে। এই অভিযানে শহিদ সেনাদের আত্মত্যাগ জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।’
অপর এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘সেনাবাহিনীর শহিদ সদস্যদের আত্মত্যাগে জাতি গর্বিত। আমরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব এবং তাদের খারাপ উদ্দেশ্য কখনোই সফল হতে দেব না।’