ভারতে দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা নির্বাচনী কর্মকাণ্ড শেষে এবার চলছে ভোট গণনা। বিজেপি নাকি কংগ্রেস, এনডিএ জোট (নরেন্দ্র মোদি) নাকি বিরোধী ইন্ডিয়া জোট (রাহুল গান্ধী); লোকসভা নির্বাচনে কারা বিজয়ী হয়ে নতুন সরকার গঠন করবে, এগিয়ে চলছে সেই প্রক্রিয়া।
এপ্রিল মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে দেশটির লোকসভার ৫৪৩টি আসনের নির্বাচন সাত ধাপে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে কোনো দল বা জোটকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে কমপক্ষে ২৭২টি আসনে জিততে হবে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় নির্বাচন বলে পরিচিত এই প্রক্রিয়ায় প্রায় ১০০ কোটি মানুষ ভোটার ছিলেন, যার মধ্যে ৬৪ কোটি ২০ লাখ মানুষ ভোট দিয়েছেন বলে দেশটির নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে।
বুথফেরত জরিপে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের যে জয়জয়কারের কথা বলা হয়েছিল, পরিস্থিতি যে সেদিকে যাচ্ছে না সেটা বলা যায়। এ পর্যন্ত পোস্টাল ব্যালট এবং ইভিএমের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, কংগ্রেস ও তাদের জোট ইন্ডিয়া তুলনামূলক ভালো অবস্থানর ধরে রাখতে পেরেছে।
ইন্ডিয়া টুডের গণনা অনুযায়ী, ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর প্রথম তিন ঘণ্টায় যে ফলাফল পাওয়া গেছে তাতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ২৯০টি আসনে এগিয়ে আছে। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ‘ইন্ডিয়া’ জোট এগিয়ে ২৩০টি আসনে। অন্যান্যরা এগিয়ে ২৩টি আসনে।
৫৪৩ আসনের মধ্য দিল্লিতে সরকার গঠনের জন্য দরকার ২৭২ আসন।
ভারতের উত্তর প্রদেশের বারানসিতে দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এগিয়ে রয়েছেন। তবে শুরুর দিকে পিটিআইয়ের এক্স পোস্টে কংগ্রেসের কাছে মোদির ৬২২৩ ভোটে পিছিয়ে থাকার খবর জানানো হয়। পরে আবার দ্য হিন্দু ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে মোদি এগিয়ে গেছেন বলে জানানো হয়।
এদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী লোকসভার রায়বেরেলি ও ওয়েনাড আসনে এগিয়ে আছেন।রায়বেরেলি আসনটি উত্তর প্রদেশে অবস্থিত। আর ওয়েনাড আসনটি অবস্থিত কেরালায়। গুজরাট রাজ্যে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বড় ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। সকাল পৌনে ১০টার তথ্য অনুযায়ী, ভোট গণনার প্রাথমিক পর্যায়ে ২১ হাজার ৬৭৪ ভোটে এগিয়ে ছিলেন অমিত শাহ। আসনটিতে কংগ্রেসের প্রার্থী সোনাল প্যাটেল।
মঙ্গলবার (৪ জুন) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে ভারত জুড়ে একযোগে কয়েক হাজার কেন্দ্রে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কড়া পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভোট গণনা উপলক্ষে সব ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে সোমবার রাত থেকেই দেশজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। যেসব এলাকায় কেন্দ্র রয়েছে তার আশপাশে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।