সেনেগালে চালকদের শৃঙ্খলার অভাব, ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা এবং জরাজীর্ণ যানবাহনের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। সরকার এ বছরের জানুয়ারি মাসে দেশটির মহাসড়কগুলোতে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এরপরও থামানো যাচ্ছে না সড়কে মৃত্যু।
দেশটির কেন্দ্রে এবং উত্তরে প্রায় ৬০ জন নিহত হওয়ার সাত মাস পর বুধবার আবারও উত্তরাঞ্চলের একটি শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত হয়েছেন।
প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, বাসটি একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছে। সেনেগালের সংবাদমাধ্যম এপিএনিউজ এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশটির প্রেসিডেন্ট ম্যাকি স্যাল বলেন, “বুধবার উত্তর সেনেগালে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত হয়েছেন। ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার জন্য আমি শোক প্রকাশ করছি। আমি নিহত ২৩ জনের পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। আমি আবারও রাস্তাগুলোতে আরও বেশি সতর্কতার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।”
এর আগে জানুয়ারিতে মধ্য সেনেগালে মর্মান্তিক এক দুর্ঘটনায় ৪০ জন নিহত হয়েছিল। এরপরই মূলত সেনেগাল কর্তৃপক্ষ সড়ক নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য প্রায় ২০টি জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
এর মধ্যে রয়েছে সড়কে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ দল। রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত আন্তজেলা সড়কে গণপরিবহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা। যাত্রীবাহী যানবাহনের ক্ষেত্রে ১০ বছর এবং পণ্যবাহী যানের ক্ষেত্রে ১৫ বছরের বেশি পুরোনো গাড়ি না চালানো। এ ছাড়া ব্যবহৃত টায়ার আমদানিতেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।