ইতালির ভেনিসে ফ্লাইওভার থেকে যাত্রীবাহী একটি বাস নিচে পড়ে ২ শিশুসহ অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) স্থানীয় সময় রাত পৌনে ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। হতাহতদের মধ্যে ইতালি ছাড়াও বিভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছেন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, বাসটি ফ্লাইওভারের বাধা ভেদ করে মেস্ত্রে জেলার রেলপথের কাছে পড়ে যায়, যা একটি সেতুর মাধ্যমে ভেনিসের সঙ্গে সংযুক্ত। ফ্লাইওভার থেকে নিচে পড়ার পর বাসটিতে আগুন ধরে যায়। তবে দুর্ঘটনার কারণ এখনো জানা যায়নি।
ভেনিস ও নিকটবর্তী মারঘেরা জেলার একটি ক্যাম্পসাইটের মধ্যে পর্যটকদের নিয়ে যাওয়ার জন্য বাসটি ভাড়া করা হয়েছিল বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। বাসটি পর্যটকদের ক্যাম্প সাইটে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা বলে জানা গেছে।
দেশটির কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাসটি মিথেন গ্যাস দ্বারা চালিত ছিল এবং বিদ্যুতের লাইনে পড়ে বাসটিতে আগুন ধরে যায়।
ভেনিসের মেয়র লুইগি ব্রুগনারো এ ঘটনাকে ‘বিশাল ট্র্যাজেডি’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানান, দুর্ঘটনার কারণ এখনো জানা যায়নি। উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। হতাহতদের উদ্ধারে তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ইতালির আনসা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১২ জন। ৫ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেডোসি।
আঞ্চলিক গভর্নর লুকা জাইয়া জানিয়েছেন, হতাহতদের মধ্যে শুধু ইতালীয় নয়, বিভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছেন।
স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের প্রধান জানান, নিহতদের মধ্যে ইউক্রেনীয় পর্যটকও রয়েছেন। অন্যদিকে ইতালীয় বার্তা সংস্থা আনসা জানিয়েছে, বাসে থাকা যাত্রীদের মধ্যে জার্মান নাগরিকও ছিল।