আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটসের (আইএস) ভারত শাখাপ্রধান হারিস ফারুকি ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসাম পুলিশের দাবি, তারা বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেছে এবং তাঁদের একজনের স্ত্রী বাংলাদেশি।
বুধবার (২০ মার্চ) ভোরে সিলেট সীমান্তের ওপারে আসামের ধুবরি সীমান্ত থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে আসাম পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স (এসটিএফ)।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হারিস ফারুকি দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর অন্যতম মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকাভুক্ত ব্যক্তিত্ব। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই দুজনকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসাম পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের কাছে তথ্য ছিল যে, আইএসআইএস-এর ভারত শাখার দুই সদস্য প্রতিবেশী দেশ হয়ে ভারতে প্রবেশ করতে পারে। তাঁরা আসামের ধুবরি সেক্টরে প্রবেশ করে সেখানে অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারে। মূলত এই সূত্রের ভিত্তিতেই ধুবরিতে অভিযান চালিয়ে আইএসআইএস-এর ভারত শাখাপ্রধান হারিস ফারুকি ওরফে হারিস আজমল ফারুকি ও তাঁর সহযোগী রেহানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসাম পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের ওই দলটির নেতৃত্ব দেন ইন্সপেক্টর জেনারেল পার্থসারথি মহন্ত। এসটিএফ খবর পায়, ভারত-বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় অবস্থান করছে হারিস ও রেহান। পরে তারা সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করলে ধুবরির ধর্মশালা এলাকা থেকে বুধবার ভোর ৪টা ১৫ মিনিটের দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আসাম পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “তারা ভারতজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় বিস্ফোরক পদার্থ আইইডি ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য নিয়োগ, অর্থায়ন ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ভারতে আইএসআইএসের কার্যক্রমকে এগিয়ে নিচ্ছিল।”
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হারিস ফারুকি ও রেহানের দিল্লি ও লক্ষ্ণৌসহ বেশ কয়েকটি মামলা বিচারাধীন। পুলিশ আরও বলেছে, “আসাম এসটিএফ অভিযুক্তদের শিগগির জাতীয় তদন্ত কর্তৃপক্ষের (এনআইএ) কাছে হস্তান্তর করবে, যাতে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপগুলো নিশ্চিত করা যায়।”
পুলিশের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, হারিস ফারুকি ও রেহানের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। হারিস আজমল ফারুকির বাড়ি উত্তারখণ্ডের দেরাদুনের চক্রতা এলাকায়। তার সহযোগী রেহান আগে হিন্দু ছিল। সে সময় তার নাম ছিল, অনুরাগ সিং। তাঁর বাড়ি হরিয়ানা রাজ্যের পানিপথে। রেহানের স্ত্রীর জাতীয়তা বাংলাদেশি বলে দাবি করেছে পুলিশ।