সম্প্রতি পশ্চিম আফ্রিকা উপকূল থেকে ইউরোপ অভিমুখে অবৈধ অভিবাসীদের বিপজ্জনক সমুদ্রযাত্রা বেড়েছে। সর্বশেষ সেনেগালে অভিবাসী ও শরণার্থীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার রাজধানী ডাকার উপকূলে ওই নৌকাটি ডুবে যায়।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি স্যাল টুইটারে জানিয়েছেন, রাজধানী ডাকার উপকূলে অভিবাসী ও শরণার্থীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার পর অন্তত ১৫ জন মারা গেছে। ডাকারের উপকূলে একটি পিরোগ (লম্বা কাঠের নৌকা) ডুবে যাওয়ার পরে প্রায় ১৫ জন সেনেগাল নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনায় আমি গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি। নিহতদের পরিবার এবং প্রিয়জনদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা।
আল-জাজিরা বলছে, অগ্নিনির্বাপক ও ডুবুরিদের একটি দল সোমবার স্থানীয় সময় বিকেলেও ওই এলাকায় মৃতদেহের সন্ধান করছিল।
সেখানকার ডেপুটি মেয়র এনডেই টপ গুয়ে বলেছেন, সোমবার সকালে মৃতদেহগুলো খুঁজে পায় নৌবাহিনী সদস্যরা। ভুক্তভোগীরা যে ধরনের নৌকায় ছিল তার কারণে তারা অভিবাসী বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও ডাকারের পার্শ্ববর্তী ওউকাম এলাকায় এবারই প্রথমবারের মতো মৃতদেহ ভেসে এসেছে, তবে এনডেই টপ বলছেন, সেনেগালে সমুদ্রে অভিবাসীদের মৃত্যু খুবই সাধারণ বিষয় হয়ে উঠছে। তার ভাষায়, ‘এটিই প্রথমবার নয়, অসংখ্যবার হয়েছে। সরকারকে পাল্টা ব্যবস্থা নিতে হবে।’
বাবাকার ডায়ালো নামে ওউকামের একজন জেলে বলেন, সমুদ্রের তীরে আসার পর বহু মানুষকে উদ্ধার প্রচেষ্টায় সাহায্য করার চেষ্টা করতে দেখেছেন তিনি। তীরে কমপক্ষে ১২টি মৃতদেহ ছিল। দুই ব্যক্তি জীবিত উদ্ধার হয়েছেন। বেশ কয়েক ঘণ্টা পর মৃতদেহগুলো তীরে আনা হয়।
মূলত স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ অভিমুখে অবৈধ অভিবাসীদের বিপজ্জনক চলাচল অনেক বেড়ে গেছে। অভিবাসনপ্রত্যাশীরা যেসব নৌকা বা নৌযানে সমুদ্র পাড়ি দেন, সেগুলোর ইঞ্জিন অনেক সময় ত্রুটিপূর্ণ থাকে। এ ছাড়া ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করাও এসব নৌযানের ক্ষেত্রে খুব সাধারণ ব্যাপার। ফলে বিপজ্জনকভাবে সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিবাসনপ্রত্যাশীরা প্রাণ হারান।