ইন্দোনেশিয়ার একটি স্কুলে হিজাব ঠিকভাবে না পরার অভিযোগে ১৪ ছাত্রীর মাথা আংশিক কামিয়ে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি দেশটির পূর্ব জাভার লামোঙ্গান শহরে এই ঘটনা ঘটেছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় এনডিটিভি।
সোমবার (২৮ আগস্ট) দেশটির সরকারি জুনিয়র হাই স্কুল এসএমপিএন ১-এর প্রধান শিক্ষক হার্তো জানান, গত বুধবার স্কুলের এক শিক্ষক ১৪ জন মুসলিম ছাত্রীর চুল আংশিকভাবে কামিয়ে দিয়েছেন। এ ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষ ক্ষমা চেয়েছে এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
হার্তো আরও জানান, ওই ছাত্রীরা হিজাবের নিচে টুপি না পরায় তাদের চুল হালকা দেখা যাচ্ছিল।
হার্তো গণমাধ্যমকে বলেন, “নারী শিক্ষার্থীদের হিজাব পরার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে পরিচ্ছন্ন দেখাতে ভেতরের টুপি পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। আমরা অভিভাবকদের কাছে এ ব্যাপারে ক্ষমা চেয়েছি।” ভুক্তভোগী ছাত্রীদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার ব্যাপারে স্কুলটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানান তিনি।
এদিকে অধিকার সংগঠনগুলো অভিযুক্ত শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার দাবি তুলেছে।
বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম জনগোষ্ঠীর দেশ ইন্দোনেশিয়া নিয়ে অধিকারকর্মীদের অভিযোগ ছিল, দেশটিতে বছরের পর বছর মুসলিমদের পাশাপাশি অমুসলিম মেয়েদেরও হিজাব পরতে বাধ্য করা হয়ে আসছিল। ২০২১ সালে স্কুলে এ ধরনের বাধ্যতামূলক ড্রেস কোড নিষিদ্ধ করে ২৭ কোটি মানুষের দেশটির সরকার।
এর আগে ২০২১ সালে দেশটিতে ঠিকভাবে হিজাব না পরার কারণে কিছু স্কুলছাত্রীর হিজাব কেটে দেওয়াসহ বিভিন্ন শাস্তির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল।