উত্তর পেরু ও ইকুয়েডরের উপকূলীয় অঞ্চলে ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রোববার (১৯ মার্চ) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
স্থানীয় সময় শনিবার শক্তিশালী এ ভূমিকম্পের আঘাতে একাধিক বাড়ি, স্কুল এবং চিকিৎসা কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, শনিবার ইকুয়েডরের উপকূলীয় অঞ্চল এবং পেরুর উত্তরাঞ্চলে রিখটার স্কেলে ৬.৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্প আঘাত হানে। মূলত গুয়াস প্রদেশের বালাও শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে ভূপৃষ্ঠের ৬৬.৪ কিলোমিটার (৪১.৩ মাইল) গভীরতায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। অবশ্য ভূমিকম্পের কারণে সুনামি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
পেরুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশটির উত্তরাঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে, তবে তাৎক্ষণিকভাবে মানুষ বা কাঠামোর কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো এক টুইট বার্তায় বলেছেন, “আজ সকালে ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি যাচাই করার জন্য আমি এসব এলাকায় অবস্থান করছি। আমি নিশ্চিত করতে চাই, আমি আপনাদের সঙ্গে আছি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি আমার সংহতি ও অঙ্গীকার প্রকাশ করছি।”
ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্সির যোগাযোগ সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পে ১৪ জন নিহত হয়েছেন এবং আরও ৩৮০ জনের বেশি লোক আহত হয়েছে। হতাহতদের বেশির ভাগই এল ওরো প্রদেশের। ভূমিকম্পের জেরে কমপক্ষে ৪৪টি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং আরও ৯০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া প্রায় ৫০টি শিক্ষা ভবন এবং ৩০টির বেশি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমিকম্পের জেরে সৃষ্ট ভূমিধসের কারণে একাধিক রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া সান্তা রোসা বিমানবন্দরের সামান্য ক্ষতি হলেও সেটি চালু রয়েছে।
ইকুয়েডরের সেক্রেটারিয়েট অব রিস্ক ম্যানেজমেন্ট আগে এক বিবৃতিতে বলেছিল, আজুয়ায় প্রদেশে একটি গাড়ির ওপর দেয়াল ধসে একজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যান্য প্রদেশে কাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়া রাষ্ট্রচালিত তেল কোম্পানি পেট্রোইকুয়েডর ভূমিকম্পের পর সতর্কতা অবলম্বন করে একাধিক স্থাপনা থেকে মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে এবং কার্যক্রম স্থগিত রেখেছে। কিন্তু সংস্থাটি কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর দেয়নি।
ইকুয়েডরের জিওফিজিক্স ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, প্রাথমিক ভূমিকম্পের পরের কয়েক ঘণ্টায় দুই দফায় দুর্বল আফটারশক হয়েছে।