পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর শীর্ষ নেতারা যখন লিথুনিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে জোটটির সম্মেলন করছে, ঠিক তখনই কিয়েভে হামলার দ্বিতীয় রাতে রাশিয়ার ১১টি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইউক্রেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ন্যাটো নেতাদের বৈঠকের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় এসব ড্রোন ভূপাতিত করা হয়।
বুধবার (১২ জুলাই) ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
ইউক্রেনের বিমানবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে বলেছে, ‘মোট ১৫টি কামিকাজ ড্রোন এ হামলায় কাজে লাগানো হয়েছিল। এর মধ্যে ১১টি ড্রোন ধ্বংস করা হয় সেন্টার অ্যান্ড ইস্ট এয়ার কমান্ডের দায়িত্বে থাকা এলাকায়।’
যদিও ইউক্রেনের অন্য অংশে আর কোনো ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে কি না, সে ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি।
ইউক্রেনের চেরকসি অঞ্চলের গভর্নর ইগর তাবুরেটস বলেন, সেখানে অনাবাসিক একটি ভবনে ড্রোন আঘাত করার পর আগুন ছড়িয়ে পড়ায় দুজন দগ্ধ হয় এবং তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চেরকসিতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সাড়ে তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছিল।
এদিকে কিয়েভ সামরিক কর্তৃপক্ষ রাজধানীতে একটি ড্রোন হামলার কথাও জানিয়েছে। তবে সেখানে হামলায় কতটি ড্রোন কাজে লাগানো হয়েছিল, তা জানায়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা বলেছে, ‘কিয়েভের আশপাশের আকাশসীমায় শত্রু পক্ষের সব লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করে ধ্বংস করা হয়েছে।’
এতে আরও বলা হয়, ড্রোন হামলায় হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। কিয়েভে বিমান হামলার সতর্কতা দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বহাল রাখা হয়েছিল।