পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে একটি বাড়িতে সন্দেহভাজন বিষক্রিয়ার ঘটনায় নারী, শিশুসহ একই পরিবারের ১১ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় বুধবার (১০ জানুয়ারি) এ খবর জানায় পাকিস্তান পুলিশ।
পৃথক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে পাকিস্তানি গণমাধ্যম এরি নিউজ ও দ্য ডন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার খাইবার-পাখতুখাওয়া প্রদেশের লাকি মারওয়াতের শেখ নিয়াজী কুর্না তখতিখেল এলাকায় একটি বাড়িতে শিশুসহ একই পরিবারের ১১ সদস্যকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
পারিবারিক বিবাদের জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে যে দুদিন আগে বিষাক্ত পদার্থ মেশানো খাবার খেয়ে পরিবারের সবার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহত পরিবারের এক আত্মীয় দুই দিন আগে ওয়াজিরিস্তান থেকে খাবার কিনে নিয়ে এসেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, দুই ভাই, তাদের দুই স্ত্রী এবং তাদের ছয় শিশু সন্তানসহ নিহতদের দুই-তিন দিন আগে বিষপ্রয়োগ ও নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে পুলিশ নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের এক আত্মীয় ওই বাড়ির কাছে থাকতেন এবং বুধবার সকালে সেখানে গিয়ে তাদের শোবার ঘর বাইরে থেকে তালাবদ্ধ দেখতে পান। এরপর সেই আত্মীয় ঘরের দরজা ভেঙে দুই ভাই ও তাদের স্ত্রী সন্তানদের রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।
পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তকারীরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং বাড়ি থেকে ‘প্রমাণ’ সংগ্রহ করেছে।
তত্ত্বাবধায়ক প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রী বিচারপতি (অব.) আরশাদ হুসেন পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে এই বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন চেয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছেন।