• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

২৪ ঘণ্টায় ৩ ফিলিস্তিনিকে হত্যা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২, ২০২২, ০৩:২৬ পিএম
২৪ ঘণ্টায় ৩ ফিলিস্তিনিকে হত্যা

ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিনজন ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। অধিকৃত পশ্চিম তীরে পৃথক হামলায় তারা মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

আল-জাজিরা বলছে, বৃহস্পতিবার (২ জুন) সকালে আয়মান মাহমুদ মাসসিন নামে ২৯ বছর বয়সী এক যুবককে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। বেথেলহেমের ধীশেহ শহরের শরণার্থী ক্যাম্পে অভিযান চলাকালে এ হামলা করে ইসরায়েলি বাহিনী।

ফিলিস্তিনি বন্দী অধিকার গোষ্ঠী বলছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাসসিনসহ তিনজনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। মাসসিন তিন সন্তানের বাবা। ইসরায়েলের কারাগারে একসময় বন্দী ছিলেন মাসসিন। তিন বছর জেল খেটে তিনি মুক্তি পেয়েছিলেন।

এদিকে বুধবার অধিকৃত পশ্চিম তীরে জেনিন শহরের কাছে এক ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী। যাবদ গ্রামে অভিযান চালানোর সময় ২৪ বছর বয়সী বিলাল আওয়াদ কাবাহকে গুলি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। একই দিন সকালে পশ্চিম তীরের হেবরনের উত্তরে আররুব শরণার্থী শিবিরের প্রবেশপথে ফিলিস্তিনি নারী সাংবাদিক গুফরান ওয়ারাসনেহকে গুলি করে হত্যা করে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তার কাছে একটি ছুরি ছিল। তিনি সৈন্যদের ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা আল-জাজিরাকে বলেছেন, ওয়ারাসনেহ একটি রেডিও স্টেশনে নতুন চাকরির তৃতীয় দিনে অফিসে যাচ্ছিলেন।

ওয়ারাসনেহ হলেন দ্বিতীয় ফিলিস্তিনি সাংবাদিক হিসেবে এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন। এর আগে ১১ মে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আল-জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহকে গুলি করে হত্যা করে। তখন তিনি জেনিনে একটি সামরিক অভিযান কভার করছিলেন।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ১ জানুয়ারি থেকে ইসরায়েলি বাহিনী ৬১ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। আর মার্চ মাস থেকে একের পর এক ফিলিস্তিনি হামলায় ১৯ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনিরা পশ্চিম তীর ঘিরে রাষ্ট্রের মর্যাদা পেতে চায়। তাদের সঙ্গে ইসরায়েলের শান্তি আলোচনার চেষ্টা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৪ সালে এই আলোচনা স্থগিত করা হয়। এর পর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে দুই পক্ষের মধ্যে এই সহিংসতা আরও তীব্র হয়েছে।

Link copied!