• ঢাকা
  • বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১, ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

হিজাব পরায় হলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি পরীক্ষার্থীকে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২২, ২০২২, ০৬:০৪ পিএম
হিজাব পরায় হলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি পরীক্ষার্থীকে
ছবি : এনডিটিভি

শ্রেণিকক্ষে হিজাব পরে আসার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ভারতের দুই নারী শিক্ষার্থী। এবার তারা হিজাবের সঙ্গে বোরকা পরে আসায় উচ্চ মাধ্যমিকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার হলে ঢুকতে দেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। এর মাধ্যমে দেশটির কর্ণাটকে হিজাব নিষেধজ্ঞার বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ হলো।

এনডিটিভি বলছে, আলিয়া আসাদি ও রেশম নামে এই দুই শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার হলে প্রবেশের জন্য অনুমতিপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। উদুপির বিদ্যাদয় পিইউ কলেজে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বোরকার সঙ্গে হিজাব পরে এসেছিলেন তারা।

তারা প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে পরিদর্শক ও কলেজের অধ্যক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাজ্য সরকারের নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তখন তারা পরীক্ষা না দিয়ে চুপচাপ কলেজ প্রাঙ্গণ ত্যাগ করে চলে যায়।

শুক্রবার (২২ এপ্রিল) থেকে কর্ণাটকে উচ্চ মাধ্যমিকে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শেষ হবে আগামী ১৮ মে। ১ হাজার ৭৬ কেন্দ্রে প্রায় ৭ লাখ পরীক্ষার্থী এবার অংশগ্রহণ করছে। প্রত্যেক কেন্দ্রে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। যাতে করে ড্রেস কোড নিয়ে শিক্ষার্থী কোনো ধরণের আন্দোলন না করতে পারে।

কর্ণাটকে হিজাব নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অগ্রভাগে রয়েছেন ১৭ বছর বয়সী আলিয়া আসাদি। তিনি গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাইয়ের কাছে একটি নতুন আবেদন করেন।

মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদনে আলিয়া বলেন, “শিক্ষার্থীদের যারা প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষায় অংশ নিতে চায় তাদের প্রভাবিত করবে হিজাব বা হেডস্কার্ফের ওপর নিষেধাজ্ঞা। আমাদের ভবিষ্যতকে ধ্বংস হওয়া থেকে আটকানোর জন্য আপনার কাছে এখনও সুযোগ আছে। আপনি আমাদের হিজাব পরে পরীক্ষায় লেখার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। দয়া করে এটি বিবেচনা করুন। আমরা এই দেশের ভবিষ্যত।”

রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশ স্পষ্টভাবে বলেছেন, “হিজাব পরে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে না।”

অনেক মুসলিম নারী শিক্ষার্থীরা চূড়ান্ত পরীক্ষার সময় তাদের হিজাব পরার অনুমতি দেওয়ার জন্য মন্ত্রীকে অনুরোধ করার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ কড়া বার্তা দেন।

এক মুসলিম ছাত্রী বেঙ্গালুরুতে সাংবাদিকদের বলেন, “পরীক্ষার ফলাফলের ওপর আমাদের ভবিষ্যত নির্ভর করে। পরীক্ষায় লেখা ও পাস করার মতো হিজাবও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।”

কর্ণাটকে ক্লাসরুমের ভিতরে হিজাব পরার অনুমতির আবেদন ১৫ মার্চ খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রীয় নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখে আদালত জানান, হিজাব পরা ‘ইসলামের অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলন নয়’। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিন্ন পোশাকের নিয়ম অনুসরণ করা উচিত।

Link copied!