ক্যারিবীয় অঞ্চলের দ্বীপ দেশ হাইতিতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ২৯৭ জনে দাড়িয়েছে। আহতের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৫ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি। খবর: দ্য গার্ডিয়ান।
সোমবার (১৬ আগস্ট) দ্য গার্ডিয়ান প্রতিবেদনে জানায়, শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে বাড়ি, গির্জা, হোটেলসহ অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমিধসের সৃষ্টি হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের উদ্ধার প্রচেষ্টাকে আরও ব্যাহত করেছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছে স্থানীয় প্রশাসন।
এদিকে হাইতির নাগরিক সুরক্ষা কার্যালয় জানায়, তাদের পরিসংখ্যানের ৭২৪ জনের মৃত্যুর খবর রয়েছে।
স্থানীয় সময় শনিবার হাইতির দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলে ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। বেশকিছু শহর ধ্বংস হয়ে গেছে। দেশটিতে আগ থেকেই রাজনৈতিক ও মানবিক সংকটে জর্জরিত ছিল।
এদিকে হাইতিতে জরুরি পরিস্থিতির ঘোষণা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি। তিনি সংবাদ সম্মেলন করে পুরো মাস জরুরি অবস্থার ঘোষণা দেন।
প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরি জানান, তিনি যেসব শহরের ধ্বংসস্তুপে গিয়েছেন সেখানে হাসপাতালগুলোতে রোগীতে ছেয়ে গেছে। একজন প্রাক্তন সিনেটর আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় সহায়তার জন্য লেস কায়েস থেকে পোর্ট-অ-প্রিন্সে যাওয়ার সুবিধার্থে একটি ব্যক্তিগত বিমানের ব্যবস্থা করেন।
হেনরি বলেন, "সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে যতটা সম্ভব জীবিতদের উদ্ধার করা।"
ক্ষতির পরিমাণ না জানা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সাহায্য চাইবেন না বলেও জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী হেনরি।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিস সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, হাইতির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সেন্ট লুইস ডু সুদ অঞ্চলের ১২ কিলোমিটার দূরে ও ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল। এর ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ইউএসজিএস দেশটির আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলছে, আগামী সপ্তাহের শুরুতে আরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে দেশটি। গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় গ্রেস সোমবার বা মঙ্গলবারের মধ্যেই হাইতিতে পৌঁছানোর আভাস রয়েছে।এতে মুষলধারে বৃষ্টিপাত হতে পারে।