সুদানে সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনায় দেশটিতে সব ধরনের অর্থসহায়তা স্থগিত করেছে বিশ্বব্যাংক।
বিবিসি জানায়, বুধবার (২৭ অক্টোবর) বিশ্বব্যাংক এ ঘোষণা দেয়। এর আগে আফ্রিকান ইউনিয়নও দেশটির সদস্যপদ স্থগিত করে এবং ৭০০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা স্থগিতের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে সুদানের বিভিন্ন স্থানে সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে। সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের প্রতিবাদে আগামী ৩০ অক্টোবর গণবিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে জানানো হয়, রাজনৈতিক নেতৃত্ব ছাড়াই সাধারণ জনগণদের নিয়ে গণবিক্ষোভের কর্মসূচি ঠিক করা হয়েছে। সেনাবাহিনী ক্ষমতা না ছাড়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
ক্ষমতা দখলের পর সংবাদ সম্মেলনে করেন দেশটির সেনা প্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গৃহযুদ্ধ ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিশ্বব্যাংক, আফ্রিকান ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া সিদ্ধান্তে চাপের মুখে পড়েছে সুদানের অভ্যুত্থানের নেতা জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান।
এর আগে আফ্রিকান ইউনিয়ন সুদানের সদস্যপদ স্থগিত করে জানায়, সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারকে উৎখাত করে সুদানের সব কার্যক্রম অনিশ্চিত করে দিয়েছে। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) ভোরে সুদানের প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লাহ হামদুককে গৃহবন্দি করে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। প্রধানমন্ত্রীসহ উচ্চপদস্থ আরও ৩ সরকারি কর্মকর্তাকেও আটক করা হয়।
আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে শিল্পমন্ত্রী ইব্রাহিম আল শেখ, তথ্যমন্ত্রী হামজা বালুল এবং প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা ফয়সাল মোহাম্মদ সালেহ। সুদানের ক্ষমতাসীন সার্বভৌম কাউন্সিলের মুখপাত্র মোহাম্মদ আল-ফিকি সুলিমান এবং সুদানের রাজধানী খার্তুমের গভর্নর আয়মান খালিদকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
