শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে ও নতুন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের পদত্যাগের দাবিতে এবার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছেন দেশটির শিক্ষার্থীরা। এই সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
বিবিসি জানায়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৯ মে) শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নামেন দেশটির হাজারও শিক্ষার্থী। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও জলকামান নিক্ষেপ করে। এতে আন্দোলনকারীরা আরও বিক্ষুব্ধ হন। মুহূর্তেই কলম্বোর রাস্তা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে।
আন্দোলনকারীরা রাস্তায় জমায়েত হয়ে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেন। সেই সঙ্গে সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। গত ৯ মে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত সবার বিচারের দাবিও জানান তারা।
এদিকে দেশটির চিকিৎসকরা জানান, রিজার্ভে বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে অতি প্রয়োজনীয় ওষুধ আমদানি করা যাচ্ছে না। হাসপাতালে ওষুধও মজুদ নেই। অতি জরুরি ১১টি ওষুধের সংকটে রয়েছে হাসপাতালগুলো।
এ অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে ওষুধ আমদানি না করলে কঠিন আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির চিকিৎসকরাও।
এই অবস্থায় দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর পি নন্দলাল ভিরাসিংহে জানান, দেশের অথনীতি পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত তারা কোনো বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন না।
দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কর কমানোসহ নানা কর্মকাণ্ডের কারণে রিজার্ভে বৈদেশিক মুদ্রা কমে যাওয়ায় এ অর্থনৈতিক সংকটের সৃষ্টি হয়।অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত দেশটিতে প্রায় মাসব্যাপী শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হয়। এরপর কিছুদিন আগে এই আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নেয়। এই পর্যন্ত পুলিশ ও সরকার দলীয়দের সঙ্গে সংঘাতে ৯ জন নিহত হন এবং আহত হন ৩ শতাধিক। এদিকে পরিস্থিতি উত্তাল হলে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান মাহিন্দা রাজাপক্ষে এবং দেশটির মন্ত্রীসভায়ও একাধিক রদবদল হয়।