অর্থনৈতিক ধসের পর দারিদ্র্য ও ক্ষোভে ফুঁসে আছে লেবানন। দেশটিতে অর্থনৈতিক পতনের পর প্রথম নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এটি ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ ও তাদের মিত্র ক্ষমতাসীন দলের এক বড় পরীক্ষা।
রয়টার্স বলছে, গত কয়েক মাস ধরে নির্বাচন হওয়া না হওয়া নিয়ে সন্দেহ ছিল। সেই অনিশ্চয়তা কেটে যাওয়ার পর রোববার দেশজুড়ে সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা রক্ষা করতে নির্বাচনী পরীক্ষা দিচ্ছে ইরান-সমর্থিত জোট।
স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় ১৫টি নির্বাচনী জেলায় ভোট শুরু হয়। ২১ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকরা ভোট দিতে পারবেন। ভোটাররা পূর্বপুরুষের শহর ও গ্রামে ভোট দেন। কেউ কেউ বাড়ি থেকে অনেক দূরে গিয়ে ভোট দিয়েছেন।
অর্থনৈতিক মন্দার কবলে ধুঁকছে লেবানন। এ জন্য দেশের শাসক শ্রেণিকে দায় দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। একই সঙ্গে বৈরুত বন্দর বিস্ফোরণও মন্দার কারণ হিসেবে গণ্য হচ্ছে। এই দুই বিষয়ে জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে আছে। ফলে সংসদের নেতা নির্বাচনে তারা সচেতন হবেন। কিন্তু লেবাননের সাম্প্রদায়িক ব্যবস্থায় ধাক্কা লাগার আশঙ্কা কম। দেশটির বর্তমান সংসদে ১১টি ধর্মীয় দল নেতৃত্ব দিচ্ছে। তারা এসব প্রতিষ্ঠিত দলকে পুনরায় ক্ষমতায় দেখতে চাইবে।
দেশটিতে সবশেষ নির্বাচন হয় ২০১৮ সালে। যখন ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হিজবুল্লাহ ও সহযোগীদের শিয়া আন্দোলন দেখা যায়। প্রেসিডেন্ট মিশেল আউনের এফপিএম ও একটি ক্রিস্টান দলসহ ৭১টি আসন জয় লাভ করে। দেশের সংসদে মোট আসন ১২৮। সে সময় জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে ইরান-সমর্থিত শিয়াপন্থীরা। এটি দেশটিতে সৌদি আরবের সুন্নি মুসলিম নেতৃত্বাধীন জোটের প্রতি এক বড় ধাক্কা।