বহুল আলোচিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের পর্দা নেমেছে স্কটল্যান্ডে। তবে সম্মেলনের শেষ দিনে সব আলোচনা ছাপিয়ে গেছে, জলবায়ু চুক্তি খসড়ায় ভারত-চীনের ভেটো দেওয়ার ঘটনা।
শেষ দিনে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবেলার উদ্দেশ্যে জীবাশ্ম জ্বালানী কয়লার ব্যবহারের ইতি টানার উদ্দেশ্যে নতুন চুক্তির খসড়া উপস্থাপন করা হয়। এতে জরুরি ভিত্তিতে গ্রিনহাউজ গ্যাস উদ্গীরণ কমানো ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য আরো অর্থ বরাদ্দ বাড়ানোর ওপর জোর দেয়া হয়।
বিবিসি জানায়, প্রথম খসড়ায় কয়লা ব্যবহার থেকে ধীরে ধীরে সরে আসার প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্ত থাকলেও ভারত নেতৃত্বাধীন দেশগুলো বিরোধীতা করে। ভারতের জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী ভুপেনদার ইয়াদাভ প্রশ্ন তোলেন, “উন্নয়নশীল দেশগুলো যেখানে উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন আর দারিদ্র বিমোচন নিয়ে এখনও লড়াই করছে সেখানে তারা কীভাবে কয়লাসহ অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার বন্ধ করবে?”
কপ২৬ এর প্রেসিডেন্ট অলক শর্মা এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে শেষ পর্যন্ত কয়লার ব্যবহার “ধাপে ধাপে বন্ধের” পরিবর্তে “ধাপে ধাপে কমিয়ে আনার” ব্যাপারে একমত হয় উভয় পক্ষ।
নতুন ‘দ্য গ্লাসগো ক্লাইমেট প্যাক্ট’ চুক্তিতে একদিকে কার্বন নির্গমন কমাতে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ওপর চাপ দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে অর্থ সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
যদিও বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য এসব প্রতিশ্রুতি যথেষ্ট নয় বলে দাবি করছেন পরিবেশবাদীরা।