• ঢাকা
  • বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১, ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

যুদ্ধের প্রভাব খাদ্যে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১০, ২০২২, ০৮:৩৩ পিএম
যুদ্ধের প্রভাব খাদ্যে

বৈশ্বিক খাদ্য সরবরাহে প্রভাব পড়েছে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ। দেশটিতে যুদ্ধ শুরুর পর জ্বালানিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করে। এরমধ্যে অন্যতম হলো তেল, গ্যাস, সবজি, গম ও ভুট্টা।
যেভাবে যুদ্ধের প্রভাব খাদ্যে শুরু হয়েছে এ নিয়ে মঙ্গলবার (১০ মে) এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

যুক্তরাষ্ট্রের মালটিন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক ও অর্থনীতি বিষয়ক সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান জেপি মর্গানের তথ্যমতে, বিশ্বের অনেকাংশ রাশিয়া ও ইউক্রেনের গমের ওপর নির্ভরশীল। যুদ্ধের আগে দেশ দুটি মিলে বৈশ্বিক গমের চাহিদার ২৮ দশমিক ৯ শতাংশ পূরণ করত। আর সূর্যমূখী বা তেলের জন্য বৈশ্বিক অর্ধের বেশি চাহিদা পূরণ করত এই দুই দেশ। বিশ্বে ৬০ শতাংশ সূর্যমূখী রপ্তানি করত রাশিয়া ও ইউক্রেন।

ইউক্রেন থেকে সমুদ্রপথে রপ্তানির মূল পথ কৃষ্ণ সাগর। কৃষ্ণ সাগর হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পণ্য রপ্তানি করে কিয়েভ। কিন্তু গত ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরুর পর যা ব্যাঘাত ঘটছে। কৃষ্ণ সাগরের উপকূল অবরোধ করে রেখেছে রাশিয়া। ফলে ইউক্রেন থেকে লক্ষ লক্ষ টন শস্য ইউক্রেন ছেড়ে যেতে পারছে না।

মানুষের ওপর যুদ্ধের প্রভাব

বিশ্বব্যাংক ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, যুদ্ধের প্রভাবে বৈশ্বিক খাদ্যের দাম ৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। বিশ্বব্যাংকের সভাপতি ডেভিড ম্যালপাস বিবিসিকে বলেন, যুদ্ধের খাদ্যের দাম রেকর্ড বৃদ্ধি হবে। যা বিশ্বের কয়েক মিলিয়ন মানুষকে দারিদ্র্য ও নিম্ন পুষ্টির দিকে ঠেলে দেবে।

ডেভিড ম্যালপাস আরো বলেন, খাদ্যের দাম বৃদ্ধি দরিদ্রদের সবচেয়ে বেশি কষ্টে ফেলবে। ফলে নিজদের সংসারে বেশি খরচ করতে পারবে না। মূল্য বৃদ্ধির কারণে দরিদ্রদের খাওয়ার পরিমাণ আরো কমে যাবে। জীবন বাঁচাতে দৈনিক প্রয়োজন কমে আসবে। দরিদ্রদের সন্তানদের স্কুলে পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটবে।

বিশ্বজুড়ে প্রতিক্রিয়া কী?

যুদ্ধের প্রভাব পুরো বিশ্বে পড়েছে। যেটি আরো তীব্র হবে। মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে যেকোনো স্থানে বিক্ষোভ সহিংসতা শুরু হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। যা ইতোমধ্যে শ্রীলঙ্কায় দেখা গেছে। দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্র চরম অর্থ সংকটে পড়েছে। দুই মাস ধরে টানা বিক্ষোভ চলছে সরকার পতনের। বিক্ষোভ সহিংস রূপ নিয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, ইউক্রেনে যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হতে পারে। কারণ, কোথাও খাদ্য সংকট চরম আকার ধারণ করলে তা বিক্ষোভে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যা বর্তমান উদাহরণ শ্রীলঙ্কা।

Link copied!