সামরিক বাহিনীর জেনারেল কাসেম সোলেইমানি হত্যাকাণ্ডের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিল ইরান। এক জনসভায় বক্তৃতাকালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানান ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।
আর যুক্তরাষ্ট্র এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ না নিলে প্রতিশোধ নেওয়ারো ঘোষণা দেন তিনি। রয়টার্স জানায়, বিচার না হলে সোলেইমানি হত্যার জন্য ট্রাম্পকে শাস্তির মুখোমুখি করবে তেহরান এমন বক্তব্যও দেন রাইসি।
স্থানীয় সময় সোমবার বক্তৃতাযকালে রাইসি জানান, জেনারেল সোলেইমানিকে হত্যার অপরাধে যদি ট্রাম্প ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেওকে আদালতে বিচার না করা হয়, তাহলে এই শহীদের জেনারেলের প্রতিশোধ নেবে মুসলমানরা। তিনি আরও বলেন, “হামলাকারী, খুনি ও দাগী অপরাধী যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টকে অবশ্যই ইসলামী আইনের অধীনে বিচার করা ও শরিয়াহ অনুযায়ী শাস্তি কার্যকর করা উচিত।”
ইরানের ইসলামী আইন অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত খুনির মৃত্যুদণ্ড রায় কার্যকর করা না হলে নিহতের পরিবার সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ দিতে হয়।
ইরানের প্রসিকিউটর জেনারেল মোহাম্মদ জাফর মনতাজরি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “ইরানের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা সোলাইমানির হত্যাকাণ্ডের মামলায় ১২৭ জন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করে বিচারের জন্য নয়টি দেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এদের মধ্যে ৭৪ জন মার্কিন নাগরিক রয়েছে। অপরাধীদের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।”
২০২০ সালের ৩ জানুয়ারী তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইরাকে ড্রোন হামলায় তিনি নিহত হন কাশেম সোলেইমানির। তার হত্যাকাণ্ডের পর, জাতিসংঘকে যুক্তরাষ্ট্র জানায় এই হামলাটি ছিল আত্মরক্ষামূলক।
রোববার ইরাক, ইরান এবং অন্যান্য দেশ ও মিত্র গোষ্ঠীগুলো ইরানি রেভুলিউশনারি গার্ডের কুদস ফোর্সের কমান্ডার সোলেইমানির মৃত্যুবার্ষিকীতেকে তাকে সম্মান জানায়। বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোলেইমানির যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দেয় ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর শত শত সমর্থক।