ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনে বিশ্বজুড়ে বেড়েছে তেলের দাম। যুক্তরাষ্ট্রেও পেট্রলের দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফলে চরম সংকটে পড়েছেন পেট্রল ব্যবহারকারীরা।
তাই স্বল্পমূল্যে তেল কেনার চেষ্টা করছেন অনেকে। এমনকি পাশ্ববর্তী দেশ থেকেও পেট্রল কেনার চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে বিবিসি বলছে, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে সবচেয়ে বেশি দামে পেট্রল কিনতে হচ্ছে। তাই বিকল্প পথ খুঁজতে শুরু করেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। এদিকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে মেক্সিকো গিয়েও পেট্রল কিনছেন অনেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম অধিদপ্তেরের তথ্যমতে, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর অভিযান শুরুর আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানির মুল্য ছিল চড়া। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছর জানুয়ারি পর্যন্ত গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৪০ শতাংশ।
মার্কিন অটোমোবাইল সংস্থার তথ্যমতে, বিশ্বে জ্বালানি সরবরাহকারী দেশগুলোর মধ্যে রাশিয়া তৃতীয়। ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন দেশে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি গ্যালন পেট্রলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৪ দশমিক ৩৩ ডলারে। এই মূল্য বৃদ্ধি গত ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
অন্যদিকে ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে এখনও আরও বেশি দাম দিয়ে পেট্রল কিনতে হচ্ছে। সেখানে প্রতি গ্যালনের মূল্য পড়ছে ৫ দশমিক ৯১ ডলার।
বিশ্বে পেট্রলের দাম বাড়লেও মেক্সিকোতে বাড়বে না বলে দেশটির প্রেসিডেন্ট ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদর জানিয়েছেন। এ মাসের শুরুতে তিনি এ ঘোষণা দেন। দেশটিতে ক্যালোফোর্নিয়ার তুলনায় অনেক কম মূল্যে পেট্রল বিক্রি হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পেট্রলের মূল্য সম্পর্কিত সব তথ্য সংরক্ষণ করে থাকে গ্যাসবাডি নামের একটি সংস্থা। তাদের মতে, দেশটিতে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি স্বত্বেও চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে।
মেক্সিকোর সরকারি কোম্পানি পেমাক্স গ্যালন প্রতি পেট্রল বিক্রি করছে ৩ দশমিক ৩০ ডলারে। অথচ সমপরিমাণ পেট্রল যুক্তরাষ্ট্রে কিনতে হচ্ছে প্রায় ৬ ডলার দিয়ে।