২০১৮ সালে প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মন্ত্রিসভায় স্থান পান নুসরাত গনি। দেশটির পরিবহনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি।
তবে ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে মন্ত্রিসভায় রদবদল হলে তাকে সেই পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়। নুসরাতের অভিযোগ ধর্মবিশ্বাসের কারণেই তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সম্প্রতি লন্ডনের প্রভাবশালী পত্রিকা সানডে টাইমসের সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। এ নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
নুসরাত জানান, ২০২০ সালে যখন তিনি দায়িত্ব থেকে অপসারণের ব্যাখ্যা চান, তখন তাকে জানানো হয়, তিনি একজন ‘মুসলমান’ এই ইস্যুতে আপত্তি ছিল অনেকের।
উপমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করার সময় সরকারি দলের হুইপ মার্ক স্পেনসার তার ধর্মবিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বলে অভিযোগ এই মুসলমান এমপির।
যদিও ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান হুইপ মার্ক স্পেনসার দাবি করছেন, নুসরাত গনির অভিযোগ মিথ্যা ও মানহানিকর।
বিবিসি জানায়, যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী ধর্মবিশ্বাসের কারণে বৈষম্য করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই এই অভিযোগটি তদন্ত করে দেখার দাবি উঠেছে পার্লামেন্টে।