আফগানিস্তানে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে পরিবর্তনের আভাস দিয়েছিল তালেবান। তারা জানিয়েছিল ২০ বছর আগেকার অবস্থানে তারা আর নেই। নিজেদের শাসনব্যবস্থায় অনেক সংস্কার আনবে।এদিকে আফগানিস্তানের নারীদের বোরকা পরা বাধ্যতামূলক নয় বলে জানিয়েছেন তালেবানের মুখপাত্র সুহাইল শাহিন। তিনি বলেন, বাইরে বের হওয়ার সময় নারীদের হিজাব পরলেই চলবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন সুহাইল। তিনি কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবান দপ্তরের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান শাসনামলে নারীদের জন্য বোরকা পরা বাধ্যতামূলক ছিল। সে সময় নারীরা চাকরি করতে পারতেন না। এমনকি পুরুষ অভিভাবক ছাড়া নারীরা ভ্রমণে যেতে পারতেন না। ১২ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের পড়াশোনার অনুমতি ছিল না।
নারীশিক্ষার বিষয়ে তালেবানের এই মুখপাত্র বলেন, “তালেবান শাসনামলে এবার মেয়েরা প্রাথমিক থেকে উচ্চস্তর পর্যন্ত শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। এর অর্থ, নারীদের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পড়াশোনা করার সুযোগ থাকবে। নারীশিক্ষার বিষয়ে আমাদের এমন নীতির কথা আমরা আফগানিস্তান নিয়ে মস্কো ও দোহা সম্মেলনেও বলেছি। আফগানিস্তানে তালেবানের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকাগুলোয় হাজারো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চালু আছে। সেখানে মেয়েরা পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে।”
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর মঙ্গলবার প্রথমবার সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ। কর্মক্ষেত্রে নারীদের অধিকার কী হবে, সে বিষয়ে এ সময় তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়। জাবিউল্লাহ বিষয়টি এড়িয়ে যান। তবে তিনি বারবারই বলার চেষ্টা করেছেন ইসলামিক আইনের আওতায় থেকে নারীরা কাজ করতে পারবেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, “বিশ বছর আগেও আমাদের দেশ মুসলিম রাষ্ট্র ছিল। আজও আমাদের দেশ মুসলিম রাষ্ট্র। কিন্তু অভিজ্ঞতা, পরিপক্বতা এবং দৃষ্টিভঙ্গির বিচারে বিশ বছর আগের তালেবানের সাথে আজকের তালেবানের বিশাল তফাত রয়েছে।”
জাবিউল্লাহ মুজাহিদ আরো বলেন, “নারীরা আমাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে যাচ্ছে। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করতে চাই যে, নারী-পুরুষে কোনো বৈষম্য থাকবে না।”