চলমান যুদ্ধ বন্ধে বেলারুশের ব্রেস্ট অঞ্চলে তৃতীয় দফায় বৈঠকে বসেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন।
দেশটির স্থানীয় সময় সোমবার (৭ মার্চ) বিকেল চারটায় এই বৈঠক হয়েছে। এতে রুশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহযোগী ভ্লাদিমির মেডিনস্কি।
বৈঠকের আগে ভ্লাদিমির মেডিনস্কি বলেন, “দুই পক্ষই একই বিষয়ে জোর দিচ্ছে। ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি, মানবিক দিক ও সামরিক বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করা হবে।”
এদিকে হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের আলোচক মিখাইলো পডোলক। বৈঠকের কয়েক মিনিট আগে এক টুইটবার্তায় পডোলক বলেন, “সহিংসতার ঝুঁকিতে থাকা বিপুল সংখ্যক নাগরিকের প্রতিনিধি হয়ে আমরা আলোচনায় শামিল হয়েছি।”
এর আগে ইউক্রেনের সঙ্গে বেলারুশের সীমান্ত শহর গোমেলে মস্কো-কিয়েভের প্রথম দফার বৈঠক হয়েছে। এরপর ৩ মার্চ বেলোভেজকায়া পুশচায়ে তাদের দ্বিতীয় দফার বৈঠক হয়েছে। এতে বড় ধরনের সফলতা না আসলে মানবিক করিডর গঠনে একমত হয়েছে দুপক্ষ।
এদিকে শর্ত পূরণ করলেই যে কোনো মুহূর্তে হামলা বন্ধ করতে রাজি আছে রাশিয়া। সোমবার (৭ মার্চ) ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “ক্রিমিয়াকে অবশ্যই রাশিয়ার অংশ এবং দোনেৎসক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে ইউক্রেনকে।”
দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “পাশাপাশি ন্যাটোসহ এ রকম কোনো ব্লকে প্রবেশ করতে পারবে না ইউক্রেন। সংশোধন করতে হবে সংবিধানও। ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ করা হবে। এসব শর্ত পূরণ হলে যে কোনো সময় হামলা বন্ধ হতে পারে বলে দাবি করেন পেসকভ।”
২০১৪ সালের মার্চে ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রাশিয়ার সঙ্গে একীভূত করে নেওয়া হয়েছে। আর সম্প্রতি দোনেৎসক ও লুহানস্ককে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এদিকে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবার সঙ্গে তুরস্কে বৈঠক করতে যাচ্ছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ।
সোমবার (৭ মার্চ) টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসগলু জানিয়েছেন, আগামী বৃহস্পতিবার তাদের বৈঠক হওয়া কথা রয়েছে।
কুলেবা ও লাভরভের মধ্যে আন্তালায় ওই বৈঠক হবে। এতে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেও উপস্থিত থাকবেন।
খাবুসগলু বলেন, “তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের উদ্যোগ ও আমাদের ব্যাপক কূটনৈতিক চেষ্টার কারণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও দিমিত্রো কুলেবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তারা দুজনেই বৈঠকে অংশ নিতে নিশ্চয়তা দিয়েছে।”
অন্যদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের মধ্যেই এই বৈঠক হবে। কিয়েভ বলছে, বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় রাশিার সামরিক বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে। রাজধানীতে সর্বাত্মক হামলা চালানো হচ্ছে।