ইউক্রেনের প্রতিবেশী বেলারুশকে পারমাণবিক শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নিয়েছে মিত্র রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজেই এই বার্তা জানান। পদক্ষেপের শুরুতে দেশটিতে স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা পাঠাবে মস্কো।
বিবিসি বলছে, আগামী মাসে মিনস্কে ‘ইস্কান্দার-এম’ পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছে মস্কো। এরেমধ্যে শুরু হচ্ছে বেলারুশকে পারমাণবিক শক্তিশালী করতে রাশিয়ার প্রচেষ্টা।
শনিবার রুশ শহর সেন্ট পিটার্সবার্গে এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘ইস্কান্দার-এম সিস্টেম’ প্রচলিত ও পারমাণবিক উভয় ধরনের ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে সক্ষম। ৫০০ কিলোমিটার বা ৩১০ মাইল দূরের লক্ষ্যবস্তুতে এই ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে আঘাত হানা সম্ভব।
তিনি জানান, বেলারুশিয়ান এসইউ-২৫ যুদ্ধবিমানগুলোকে সংশোধন করতে সহায়তা করবে রাশিয়া। যাতে করে বেলারুশ পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে পারে।
এদিকে শুক্রবার রাতে ইউক্রেনের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চল লক্ষ্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। কিয়েভের পশ্চিমে সারনি শহরে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আরও অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন বলে স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
কিছু রকেট বেলারুশ থেকে ছোড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সহায়তা দিচ্ছে বেলারুশ। তবে মিনস্কের সেনাবাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে সংঘাতে অংশ নিচ্ছে না।
ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বেলারুশকে যুদ্ধে টানতে ক্রেমলিনের প্রচেষ্টার অংশ।
রোববার সকালেও ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে বলে শহরের মেয়র জানিয়েছেন।
অন্যদিকে শনিবার যুদ্ধের অপডেটে ইউক্রেন বলেছে, কয়েক সপ্তাহের ভয়াবহ লড়াইয়ের পর রাশিয়ান বাহিনী পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান শহর সেভেরোদোনেৎস্ক পুরোপুরি দখল করেছে। শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার অর্থ হলো, রাশিয়া এখন প্রায় পুরো লুহানস্ক অঞ্চল ও প্রতিবেশী ডোনেটস্কের বেশিরভাগ নিয়ন্ত্রণ করছে। দুটি অঞ্চল শিল্পসমৃদ্ধ এলাকা।
এরপরই এক ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, রাশিয়ার দখলে থাকা সব শহর পনুরুদ্ধার করা হবে। রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ কঠিন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। তিনি জানেন না আরও কত আঘাত ও ক্ষতি হবে।