২০ বছরের যুদ্ধ আর সংঘাতে বিপর্যস্ত আফগানিস্তান। তালেবানের উত্থান আর বিদেশি সেনা প্রত্যাহার হলেও অবস্থার কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। দারিদ্র্য, অনাহার আর অস্থিরতায় চরম সংকটে দিন যাপন করছেন আফগানরা।
আফগানিস্তানের খাদ্যসংকট নিয়ে এরই মধ্যে উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। দারিদ্র্য বিমোচন না হলে বিপুলসংখ্যক মানুষ মৃত্যুঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে জাতিসংঘ জানায়, আফগানিস্তানের পুনর্গঠনের জন্য ২০২২ সালেই প্রায় ৩৭ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। এরই মধ্যে দাতাগোষ্ঠীগুলোর কাছে এই সাহায্যের আবেদন জানানো হয়েছে। এর আগে কোনো দেশের জন্য জাতিসংঘে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ সহায়তা চাওয়া হয়নি।
অন্যদিকে ২০২১ সালে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অনাবৃষ্টি দেখেছে আফগানরা। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বলছে, এই মুহূর্তে চরম খাদ্যসংকটে ভুগছে ২ কোটি ৩০ লাখ আফগান নাগরিক। দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে আছে ৯০ লাখ।
২০২১ সালে দেশটির ৪২ লাখ মানুষ সহিংসতা ছাড়াও খরাসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়েছে। জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির প্রতিবেদন বলছে, ২০২২ সালের প্রথম ৬ মাসের মধ্যে ৯৭ শতাংশ আফগান দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করবেন। আর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে পাঁচ বছরের কম বয়সী ১০ লাখ শিশু অপুষ্টিতে মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২০২১ সালের ১৫ আগস্ট সরকার পতন ও তালেবানের ক্ষমতা দখলের আগেই মোট জনসংখ্যার অর্ধেক মানুষ দরিদ্র ছিলেন। তাই ২০২২ সালে দেশটির অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখতে তালেবানের পরিবর্তে মানবাধিকার সংস্থা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে সরাসরি অর্থ সহায়তা পৌঁছাতে চায় জাতিসংঘ।