• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নেপালে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজ থেকে ১৪ মরদেহ উদ্ধার


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২২, ০২:৩২ পিএম
নেপালে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজ থেকে ১৪ মরদেহ উদ্ধার

নেপালে বিধ্বস্ত দ্য তারা এয়ারের বিমানের ধ্বংসাবশেষ শনাক্তের পর ঘটনাস্থল থেকে ১৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকারীরা। সোমবার বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

উত্তর নেপালের মুস্তাং জেলায় বিমানটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি যাত্রীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র দেও চন্দ্র লাল কর্ন এএফপিকে বলেন, “এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে, বাকিদের জন্য অনুসন্ধান অব্যাহত আছে। এখানকার আবহাওয়া খুবই খারাপ, তবে আমরা একটি উদ্ধারকারী দলকে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি।”

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বিমানটিতে ৪ ভারতীয়, ২ জার্মান এবং ১৬ জন নেপালি নাগরিক ছিলেন। বিরূপ আবহাওয়া ও পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম পরিবেশের কারণে রোববার অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত হয়। সোমবার সকাল থেকে আবার তা শুরু হয়েছে।

এর আগে নেপালের সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র তার টুইটারে পোস্ট করা ছবিতে বিমানের ধ্বংসাবশেষ দেখান। মুখপাত্র নারায়ণ সিলওয়াল সোমবার টুইটারে বলেন “উদ্ধারকারী দল বিমান দুর্ঘটনার স্থানটি শনাক্ত করেছে। ধ্বংসাবশেষের খোঁজে প্রায় ২৪ ঘণ্টা অনুসন্ধান চালানো হয়।”

কানাডিয়ান বিমান সংস্থা ডি হ্যাভিল্যান্ডের তৈরি বিমানটি রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে পর্যটন শহর পোখারা থেকে ছেড়ে যায়। পর্যটন নগরী ও তীর্থস্থান জোমসোমের দিকে যাওয়ার পথে এটি বিধ্বস্ত হয়।

নেপালের এমন বিমান দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। প্রায়ই সেখানকার আবহাওয়ার আকস্মিক পরিবর্তন ও পাথুরে ভূখণ্ডের কারণে বিমান অবতরণে বিপাকে পড়েন পাইলটরা।

২০১৮ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশের ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুগামী ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইট অবতরণের সময় ৭১ জন আরোহী নিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে। বিমানে আগুন ধরে গেলে ৫১ জন যাত্রী প্রাণ হারান।

২০১৯ সালের এপ্রিলে লুকলা বিমানবন্দরের রানওয়েতে থাকা একটি হেলিকপ্টারের সঙ্গে উড়োজাহাজের সংঘর্ষে দুর্ঘটনায় তিনজন মারা যান। বিমান অবতরণের জন্য সবচেয়ে কঠিন রানওয়েগুলো নেপালেই অবস্থিত।

Link copied!