২০২১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ নাগরিককে টিকা দেওয়ার ঘোষণা দিলেও এখনো লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। উন্নয়নশীল দেশগুলোর টিকা কর্মসূচি পর্যবেক্ষণে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, বিশ্বব্যাংক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্সের পরিসংখ্যানে এমনটাই দেখা গেছে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি টিকাদান শুরু করে বাংলাদেশ। তবে ২৫ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৭৫ লাখ মানুষ। আর দুটি ডোজই পেয়েছেন ৪৩ লাখ।
সাড়ে ১৬ কোটি জনসংখার বাংলাদেশের ৪০ শতাংশ নাগরিককে টিকা দিতে প্রয়োজন ১৩ কোটি ১৮ লাখ ডোজ টিকা। আর বাকি ৬০ শতাংশের জন্য দরকার প্রায় ২০ কোটি ডোজ টিকা।
পরিসংখ্যান বলছে, এ বছরের মধ্যে ৪০ শতাংশ নাগরিককে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এখনো পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। টাস্কফোর্সের তথ্যমতে, এ মুহূর্তে দেশে টিকাদানের হার শতকরা শূন্য দশমিক ১১ ভাগ। অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার প্রতি ১০০ জনে ১ জন করেও টিকা পাননি এখনো।
ভারতে টিকাপ্রাপ্তির হার শূন্য দশমিক ৩১, পাকিস্তানে শূন্য দশমিক ১৯, নেপালে শূন্য দশমিক ৩৩, শ্রীলঙ্কায় ১ দশমিক ৬৩। অর্থাৎ দক্ষিণ এশিয়ায় টিকাদানে এখনো পেছনের কাতারে রয়েছে বাংলাদেশ। যদিও এই হার ভুটানে, মালদ্বীপে ও আফগানিস্তানের চেয়ে বেশি।