তুরস্কে ওসমান কাভালা নামে এক অধিকারকর্মীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া সাজা ভোগ করা অবস্থায় তার জন্য প্যারোলে মুক্তির বিধান রাখা হয়নি। সোমবার (২৫ এপ্রিল) দেশের এক আদালত এই রায় দেন।
এদিন ওসমান কাভালা ছাড়াও আরো ৭ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন তুরস্কের আদালত। তাদের প্রত্যেককে ১৮ বছর করে কারাভোগ করতে হবে। এই সাতজনকে দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া প্রমাণের অভাবে ওসমান কাভালাকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আদালত।
রায় দেওয়ার সময় আদালত কক্ষে বিরোধী সদস্য, পশ্চিমা কূটনীতিক ও অধিকার কর্মীসহ ২০০ জনেরও বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন। রায় পড়ে শোনানোর সঙ্গে সঙ্গে আসামিপক্ষের সমর্থকরা বিচারকদের দিকে চিৎকার করে ওঠেন।
৭১ বছর বয়সী স্থপতি মুসেলা ইয়াপিসিসহ বাকি সাত আসামিকে হেফাজতে নেওয়ার পরে তাদের মধ্যে অনেকেই কেঁদেছিলেন।
৬৪ বছর বয়সী ওসমান তুরস্কে পরোপকারী বা জনহিতৈষী হিসেবেও পরিচিত। সম্প্রতি বিক্ষোভকারীদের অর্থায়ন করে সরকারকে উৎখাত করার চেষ্টা করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তবে তার বিরুদ্ধে আনা এমন মামলার বিষয়ে ইউরোপের শীর্ষ আদালত ও পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, এটি রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগে ওসমান দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন। গেজি বিক্ষোভের জন্য তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। যা ২০১৩ সালে ইস্তাম্বুল পার্কে ছোট বিক্ষোভ হিসেবে শুরু হয়েছিল। পরে তা দেশব্যাপী সরকারবিরোধী অস্থিরতায় রূপ নেয়। যদিও নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওসমান।
ওসমান দোষী সাব্যস্ত হওয়া ‘গভীর উদ্বেগ ও হতাশা’ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরষ্ট্র। এক বিবৃতিতে মার্কিন সরকারের পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, তাকে (ওসমান) এমন সাজা দেওয়া অন্যায়। মানবাধিকার, মৌলিক স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের প্রতি অসঙ্গতিপূর্ণ।