জাপানের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের নির্বাচনে জয়লাভ করেছে ক্ষমতাসীন জোট লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। গত শুক্রবার দলটির নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের হত্যার পর এই জয় শোক জাপানীদের কাটিয়ে উঠতে সহায় হবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এনএইচকের তথ্য অনুসারে, রবিবার রক্ষণশীল এলডিপি কমপক্ষে ৬৩টি আসন জয় পেয়েছে। ১২৫ আসনের উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় আসনের চেয়েও কয়েকটি বেশি পেয়েছে দলটি।
সিএনএন জানায়, রোববার দুপুরে জানায় ভোট গণনা সম্পূর্ণ হয়েছে। তবে জাপানের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ মন্ত্রণালয় এখনও আনুষ্ঠানিক ফলাফল প্রকাশ করেনি।
জাপানের পার্লামেন্টের দুই কক্ষের মধ্যে উচ্চকক্ষ কম শক্তিশালী হলেও, এই জয় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার রাজনৈতিক ভিত্তিকে মজবুত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। নির্বাচনের ফল জাপানের সংবিধান সংশোধনসহ অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণেও তাকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করতে পারে।
তবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের প্রয়োজন হবে কিশিদার। যার জন্য অনুষ্ঠিত হবে গণভোট।
রবিবার ভোট শেষ হওয়ার কয়েক ঘন্টা পরে এনএইচকে-কে কিশিদা বলেন, “সহিংসতার কারণে নির্বাচন ঝুঁকির মুখে পড়লেও আমরা এটি সম্পন্ন করেছি। এটি বেশ অর্থবহ। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে, গণতন্ত্র রক্ষার জন্য কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যেতে হবে।”
শুক্রবার নারা শহরে প্রচারের সময় বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হন ৬৭ বছর বয়সী জাপানের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী। দেশটির নেতারা এই হত্যাকাণ্ডকে গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ বলে নিন্দা জানিয়ে পার্লামেন্ট নির্বাচন চালিয়ে যান।