রাজধানী কাবুলের দোরগোড়ায় তালেবান। চলছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আলোচনা। এমন পরিস্থিতিতে অস্থিরতা বাড়ছে গোটা শহরে।
এদিকে আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় কারাগার কাবুলের পুল-ই-চরখি জেলখানা থেকে কারাবন্দিদের মুক্ত করে দিয়েছে বিদ্রোহীরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এই তথ্য জানা গেছে। এছাড়া তালেবানপন্থী একটি সংবাদ সংস্থার ভিডিও ফুটেজেও জেল থেকে বন্দিদের পালিয়ে যেতে দেখা যায়।
রোববার (১৫ আগস্ট) তালেবান বাহিনী বাগরামের পুরোনো মার্কিন বিমান ঘাঁটির সামরিক কারাগার দখলে নেয়। পরে সেখান থেকেও কারাবন্দিদের মুক্ত করে দেয় তালেবান সেনারা। কারাগারটি তালেবান ও জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের ৫ হাজার বন্দি আটক ছিলেন।
এদিকে আফগানিস্তান ছাড়তে শুরু করেছে বিদেশি কূটনীতিকরা। বিবিসি জানায়, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন কর্মকর্তাদের সরিয়ে নিতে কাবুলে মার্কিন দূতাবাস থেকে হেলিকপ্টার অবতরণ ও উড্ডয়ন করতে দেখা গেছে।
কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকেও ব্ল্যাক হক এবং চিনুক হেলিকপ্টারে করে আফগানিস্তান ছাড়ছেন অনেকে। তালেবানদের রকেট হামলা ঠেকাতে কয়েকটি হেলিকপ্টার থেকে আগুন ছুড়ে বার্তা দিতে দেখা গেছে। এছাড়া যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশের কূটনীতিকরাও নিজস্ব বিমানে আফগানিস্তান ছাড়ছেন।
অন্যদিকে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের আশা জানালেও তালেবানের আতঙ্কের কাবুলের অনেক বাসিন্দাই এলাকা ছাড়তে শুরু করেছে। বিভিন্ন ব্যাংকেও টাকা তোলার হিড়িক দেখা গেছে।
অন্যদিকে বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তালেবানের মুখপাত্র সুহাইল শাহিন জনগণকে আতঙ্কিত না হতে আহ্বান জানান। নারী অধিকার রক্ষার পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মী ও কূটনীতিকদের স্বাধীনতাও নিশ্চিত করবে তালেবান–এমনটাই প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।