ভারতের উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং (৮৯) মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। খবর এনডিটিভি।
শনিবার (২১ আগস্ট) রাত ৯টা ১৫ মিনিটে লখনউয়ের সঞ্জয় গান্ধী পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সসে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
শুধু মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নন, বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা হিসেবেও দিনের পর দিন দলের হয়ে কাজ করে গিয়েছেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া রাজনৈতিক মহলে। সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়াণে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোকের ঘোষণা করা হয়েছে।
কল্যাণ সিংয়ের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টুইটার বার্তায় মোদি লেখেন, ‘আমি যে কতটা শোকস্তব্ধ, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। কল্যাণ সিং...রাষ্ট্রনায়ক, বর্ষীয়ান প্রশাসক, তৃণমূল স্তরের নেতা। উত্তর প্রদেশের উন্নয়নে উনি অভাবনীয় অবদান রেখে গিয়েছেন। তার ছেলে রাজবীর সিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। সমবেদনা জানিয়েছি। ওম শান্তি।’
নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, “ভারতের সাংস্কৃতিক পুনর্জন্মের প্রতি অবদানের জন্য প্রজন্মের পর প্রজন্ম কল্যাণ সিংয়ের কাছে চির কৃতিত্ব থাকবে। ভারতীয় মূল্যবোধের অভ্যন্তরে তার শিকড় ছিল এবং কয়েক শতক পুরোনো ঐতিহ্য নিয়ে গর্ববোধ করতেন তিনি।”
গত ২১ জুন নানা জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন কল্যান সিং। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সঞ্জয় গান্ধী পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে ভর্তি করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তাকে হাসপাতালে দেখতে যান। শুধু তিনি নয়, অমিত শাহ, রাজনাথ সিং সহ একাধিক শীর্ষ বিজেপি নেতাও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংকে হাসপাতালে দেখে আসেন।
বহু যুদ্ধের নায়ক কল্যাণ সিং ১৯৩২ সালে ৫ জানুয়ারি আলিগড়ের মাধুলি বলেল একটি এলাকাতে জন্ম নেন। ১৯৯১ সালে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হন কল্যাণ সিং। যিনি উত্তর প্রদেশের প্রথম বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। রাজস্থানের রাজ্যপাল হিসেবেও দীর্ঘদিন কাজ সামলেছেন। রামমন্দির নিয়ে আন্দোলনের অন্যতম মুখ হয়ে ওঠেন তিনি।