ইউরোপে প্রথমবারের মতো নারী কর্মীদের জন্য পিরিয়ডকালীন ছুটির ব্যবস্থা চালু করছে স্পেন। প্রতি মাসে কয়েক দিনের এই ছুটির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ জন্য দেশটি একটি আইন পাস করতে যাচ্ছে। যা আগামী সপ্তাহে প্রকাশিত হবে।
ইউরো নিউজ বলছে, স্প্যানিশ সরকার প্রজনন স্বাস্থ্য ও গর্ভপাতের অধিকারের একটি বিস্তৃত খসড়া বিলের অংশ হিসেবে এই ব্যবস্থাটি অনুমোদন দিবে। আগামী মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানাবে দেশটির সরকার।
স্প্যানিশ এল পেইস সংবাদপত্রের মতে, প্রস্তাবিত আইনে প্রতি মাসে তিনদিন পিরিয়ডকালীন ছুটির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যেকোনো প্রতিষ্ঠানের নারী কর্মীদের জন্য এই সুবিধা চালু করা হচ্ছে। যারা তীব্র ব্যাথায় ভোগেন তাদের জন্য আরো বেশি সুবিধা দেওয়া হবে। পাঁচদিন পর্যন্ত ছুটি বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
সমতা ও লিঙ্গ সহিংসতা রোধে স্পেনের স্বরাষ্ট্র সচিব অ্যাঞ্জেলা রদ্রিগেজল পেরিওডিকো পত্রিকাকে বলেন, “সমস্যাটি চিকিৎসা পদ্ধতিতে সমাধান করা যায় না। আমরা মনে করি এই সমস্যার সঙ্গে সাময়িক অক্ষমতা যুক্ত হওয়া উচিত। বেদনাদায়ক সময়কাল কী তা স্পষ্ট করা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা শুধুই সামান্য অস্বস্তির কথা বলছি না।”
এছাড়া এই খসড়া আইনে আরো বেশ কিছু দিক যোগ করা হয়েছে। স্পেনে নারীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পণ্যের ওপর ভ্যাট কমানো হবে। শিক্ষাকেন্দ্রে বিনামূল্যে পিরিয়ডকালীন পণ্য পাওয়া যাবে।
স্বাস্থ্য বিলটি দেশের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বিনামূল্যে গর্ভপাত চাওয়ার অধিকারের নিশ্চয়তা দেবে। ১৬ ও ১৭ বছর বয়সী শিশুদের গর্ভপাতের জন্য পিতামাতার সম্মতি পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয়তা বাতিল করবে।
বিশ্বে বর্তমানে শুধুমাত্র জাপান, তাইওয়ান, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাম্বিয়াসহ অল্প সংখ্যক দেশে পিরিয়ডকালীন ছুটি দেওয়া হয়।