ইউক্রেন সীমান্তে উত্তেজনাকে ঘিরে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনায় বসেছিল ১৫ সদস্য। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার বাগযুদ্ধের কারণে কোন সমাধান ছাড়াই শেষ হয় সোমবারের বৈঠক।
নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, অধিবেশনের পুরো সময়জুড়ে ইউক্রেন সংকট নিয়ে একে অপরকে আক্রমণ ও দোষারোপ করেছেন দুই দেশের কূটনীতিক। এসময় ইউক্রেনের সীমান্তে ১ লাখের বেশি সেনা মোতায়েন করে দেশটির শান্তি নষ্ট করা ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা অস্থিতিশীল করার দায়ে রাশিয়াকে অভিযুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র। আর রাশিয়াকে দুর্বল করার চেষ্টায় সশস্ত্র সংঘাত উস্কে দেওয়ার ও ভীতি প্রদর্শনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করে রাশিয়া।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, “রাশিয়ার কর্মকাণ্ড জাতিসংঘের আইনবিরোধী। এর কারণে আমরা ইউরোপে খুবই বিপজ্জনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছি।”
আর রুশ রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, “এসব উত্তেজনা সৃষ্টি জন্য দায়ী যুক্তরাষ্ট্র, তারাই এর উস্কানিদাতা।” এ সময় রাশিয়ার ইউক্রেনে আক্রমণ করার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জোর দাবি জানান তিনি।
এছাড়া টমাস-গ্রিনফিল্ডের দিকে ইঙ্গিত করে রুশ রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, “আপনারা ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতিই আশা করেন। এসব মিথ্যা দাবিকেই বাস্তবে পরিণত করতে চান।”
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধের পর ইউক্রেন সংকট সমাধানে নিরাপত্তা পরিষদের এই বৈঠক ডাকা হয়। তবে কোন ধরণের কূটনৈতিক অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হয়েছে সোমবারের অধিবেশন।