• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আফ্রিকায় বন্যায় নিহতের সংখ্যা ২৫০ ছাড়াল


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৩, ২০২২, ০৮:২৫ পিএম
আফ্রিকায় বন্যায় নিহতের সংখ্যা ২৫০ ছাড়াল

দক্ষিণ আফ্রিকার কোয়াজুলু নাটাল প্রদেশে প্রলয়ঙ্করী বন্যায় পরচুর ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে। বন্যার কারণে এ অঞ্চলে নিহতের সংখ্যা ২৫০ জনের বেশি ছাড়িয়ে গেছে। 

বিবিসি বলছে, আফ্রিকার কিছু এলাকায় কয়েক মাস ধরে প্রতিদিন টানা বৃষ্টিপাত হয়েছে। পরে কর্তৃপক্ষ এ অবস্থাকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে।

কিছু ছবিতে দেখা যাচ্ছে, এলাকার প্রধান শহর ডারবানের ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ি ও গাড়িগু পানিতে ডুবে আছে। 

নাটাল প্রদেশের এক বাসিন্দা বলেন, “কর্মকর্তারা একে ‘আমাদের দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ আবহাওয়ার ঝড়ের একটি’ বলে অভিহিত করেছেন।”

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এলাকার জনগণকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

দেশটির কিছু এলাকায় প্রতিদিন টানা বৃষ্টি হচ্ছিল। যা গত কয়েক মাস ধরে অব্যাহত রয়েছে। মাটি ধসে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, রাস্তায় এখনো বেশ পানি জমে আছে। গাড়ি চলার সময় নিছের অংশ দেখা যাচ্ছে না। শুধুমাত্র গাড়ির ট্রাফিক লাইটের উপরের অংশ দেখা যাচ্ছে।

টোঙ্গাট শহরের রন নাইডু নামে একজন বিবিসিকে বলেছেন, “বন্যার পানিতে সারা রাত জেগে থাকতে হয়েছে। নদীর পানি ও সমতল এক হয়ে গেছে। পুলিশের সামনে দিয়ে গাড়ি ভেসে চলে গেছে। গাড়িটির ভেতরে মৃত মানুষ ছিল। আমরা প্রথমবার নদী এত উপরে দেখলাম। এটি বেদনাদায়ক ছিল।”

কোয়াজুলু নাটালের প্রাদেশিক সরকার অনুমান করছে, সম্পত্তি এবং অবকাঠামো মিলিয়ে বিলিয়ন ডলার মূল্যের ক্ষতি হয়েছে। এক বিবৃতিতে ভারী বৃষ্টিপাতকে ‘অকথ্য বিপর্যয়’ হিসেবে বর্ণনা করেছে প্রশাসন।

ডারবানের মেয়র ম্যাক্সোলিসি কাউন্ডা বিবিসিকে বলেছেন, “বিদ্যুৎ এবং পানি শোধনাগারগুলো ‘বন্যার সঙ্গে মিশে গেছে’।”

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন লজিস্টিক কোম্পানি ট্রান্সনেট জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে ব্যস্ত ডারবান বন্দরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাস্তার ক্ষতির কারণে টার্মিনালগুলোতে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। বন্দরে কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, বন্যা কবলিত এলাকাটিকে একটি দুর্যোগ অঞ্চল ঘোষণা করা প্রয়োজন। তাহলে জাতীয় কোষাগারের জরুরী তহবিল থেকে প্রদেশটি সাহাজ্য করা যাবে। প্রদেশের প্রয়োজনীয় পুনর্গঠনের কাজে সহায়তা হবে। 

বন্যায় প্লাবিত রাস্তা ও সেতু এড়িয়ে নিরাপদে থাকার জন্য জনগণকে আহ্বান জানিয়েছে সরকার। নিচু এলাকায় বসবাসকারীদের উঁচু জমিতে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সরকার।

Link copied!