মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা চলবে বলে রায় দিয়েছে আন্তর্জাতিক আদালত। রায়ে মিয়ানমারের করা আপত্তি আদালত খারিজ করে দিয়েছে। রোহিঙ্গাদের ওপর যে গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ করেছে, তার বিরুদ্ধে গাম্বিয়া আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করলে প্রাথমিকভাবে আপত্তি জানায় তারা। এ আদেশের পর মামলা চলতে এখন আর কোনো বাধা রইল না।
শুক্রবার (২২ জুলাই) গণহত্যার মামলায় মিয়ানমারের আপত্তি প্রত্যাখ্যান করে দেন আদালত।
এর আগে, গত ফেব্রুয়াারিতে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের প্রাথমিক আপত্তির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা বন্ধের পাশাপাশি দোষীদের শাস্তি দিতে ব্যর্থ হওয়ায় গাম্বিয়া ২০১৯ সালের নভেম্বর আন্তর্জাতিক আদালত (আইসিজে)-তে নেপিদোর বিরুদ্ধে একটি মামলা করে।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার করা এই মামলার বিচার করার এখতিয়ার নেই আইসিজের- এমনটি দাবি ছিল মিয়ানমারের। তবে শুক্রবারের রায়ে আন্তর্জাতিক আদালত বলেছেন, রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার করার পুরো এখতিয়ার রয়েছে তাদের।
বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া রাখাইন রাজ্যে ২০১৭ সালে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়ে, ধর্ষণ ও হত্যা করে জাতিগত নিধন অভিযান চালায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সেসময় নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এর আগেও বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল মিয়ানমারের কয়েক লাখ মুসলিম সংখ্যালঘু। তারা এখনো তাদের জন্মভূমিতে ফিরতে পারেনি।
২০১৯ সালের নভেম্বরে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে গাম্বিয়া। ওই বছরের ১০-১২ ডিসেম্বর এই মামলায় প্রথমবার প্রাথমিক শুনানি হয়। এতে গাম্বিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির আইন ও বিচার মন্ত্রী আবুবকর তামবাদু। আর মিয়ানমারের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি।
২০২০ সালে আইসিজেতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার দলিল দাখিল করে গাম্বিয়া। সেখানে দেখানো হয়, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী কীভাবে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে।