রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ভয়াবহ সামরিক আক্রমণ শুরু করার দ্বার প্রান্তে রয়েছে বলে দাবি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সৈন্য ফিরিয়ে নেওয়ার মস্কোর দাবি প্রত্যাখান করে দেশটি বলেছে, রাশিয়ার আর্টিলারি ফায়ার একটি ইউক্রেনিয় কিন্ডারগার্টেনে আঘাত হেনেছে।
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘে এক নাটকীয়, অনির্ধারিত ভাষণে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, গোয়েন্দা তথ্যে দেখা যাচ্ছে যে মস্কো ‘সামনের দিনগুলোতে’ প্রতিবেশী দেশটির ওপর হামলার নির্দেশ দিতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা সরকারগুলো বলেছে, তারা রাশিয়ার সৈন্য প্রত্যাহারের দাবির সমর্থনে কোনো প্রমাণ দেখতে পাচ্ছে না।
ব্লিনকেন কেমলিনকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, “কোনো শর্ত, বিভ্রান্তি বা বাকচাতুরি ছাড়াই রাশিয়া ঘোষণা করুক যে তারা ইউক্রেন আক্রমণ করবে না। এটা পরিষ্কারভাবে বলুন। এটা বিশ্বের কাছে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরুণ।”
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “আপনার সৈন্য, আপনার ট্যাঙ্ক, আপনার বিমান তাদের ব্যারাকে এবং হ্যাঙ্গারে ফেরত পাঠিয়ে দিয়ে আপনার কূটনীতিকদের আলোচনার টেবিলে পাঠান।”
রাশিয়া কোনো ধরণের আগ্রাসনের পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করলেও পূর্ব ইউরোপ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর প্রত্যাহারের সুদূরপ্রসারী দাবি পূরণ না হলে ‘সামরিক-প্রযুক্তিগত’ ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে।
হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মস্কোকে অভিযুক্ত করে বলেন, “হামলার অজুহাত হিসেবে ‘ফলস ফ্লাগ অপারেশন’ বা নিজেদের সৃষ্ট ঘটনাকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়ে ‘আগামী কয়েক দিনের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটতে পারে।”
‘তারা তাদের কোনো সৈন্য সরিয়ে নেয়নি। তারা আরো সৈন্য সমাবেশ করেছে’ এ কথা উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, “আমাদের কাছে থাকা প্রতিটি তথ্যে এই ইঙ্গিত রয়েছে যে তারা ইউক্রেনে আগ্রাসনের জন্য প্রস্তুত।”