ইউক্রেন অভিযান পরিচালনার চীনের কাছ থেকে সামরিক সহায়তা চাওয়ার দাবি অস্বীকার করেছে রাশিয়া। আলাদা বিবৃতিতে চীনও এমন তথ্যের সত্যতা নেই বলে উল্লেখ করেছে।
চীনের সহায়তার ব্যাপারে মার্কিন কর্মকর্তাদের সব দাবি নাকচ করে দিয়ছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ক্রেমলিন জানায়, রাশিয়া চীনের কাছে কোন ধরণের সামরিক সহায়তা চায়নি এবং ইউক্রেনে সমস্ত লক্ষ্য যথাসময়ে ও সম্পূর্ণরূপে পূরণের জন্য পর্যাপ্ত সামরিক শক্তি রয়েছে তাদের।
একই তথ্য জানিয়েছেন ওয়াশিংটনে চীনের দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ। সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মস্কো ইউক্রেনে আক্রমণ শুরুর পর বেইজিংয়ের কাছে সামরিক সরঞ্জাম চেয়েছিল এমন কথা তিনি ‘কখনও শুনেননি’ বলে উল্লেখ করেন।
তিনি জানান, ইউক্রেনের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায় সেটিই অগ্রাধিকার দিচ্ছে চীন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একটি অনুসন্ধানের ইমেলের প্রতিক্রিয়ায় পেংইউ বলেছেন, “ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি সত্যিই উদ্বেগজনক। তাই এখন উত্তেজনা যেন আরও বাড়তে বা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে না পারে সেটাই অগ্রাধিকার দেওয়া উচিৎ সবার।’’
এর আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমস (এফটি) ও নিউইয়র্ক টাইমসের বরাতে বিবিসি জানায়, ইউক্রেনে অভিযান পরিচালনার জন্য বেইজিংয়ের কাছে সামরিক রসদ চেয়েছে মস্কো।
রাশিয়াকে সাহায্য করার জন্য চীন প্রস্তুতি নিতে পারে, এমন ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতে এফটি আরও জানায়, ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর থেকেই রাশিয়া চীনের কাছে সরঞ্জাম চেয়ে অনুরোধ করে আসছে। তবে তারা কী ধরনের সরঞ্জাম চাইছে, তা বিস্তারিত জানাননি কর্মকর্তারা।
নিউইয়র্ক টাইমসেও মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে একই অভিযোগ করা হয়। এতে আরও উল্লেখ করা হয়, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার প্রভাব থেকে বাঁচতে রাশিয়া চীনের কাছে অর্থনৈতিক সহায়তাও চেয়েছে।