রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সহিংসতাকে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। এসব সহিংসতাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে মার্কিন প্রশাসন।
সোমবার (২১ মার্চ) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ওয়াশিংটনের হলোকাস্ট মেমোরিয়াল মিউজিয়াম পরিদর্শন শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দিবেন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।
মার্কিন প্রশসনের এক কর্মকর্তা সিএনএনকে আরও জানান, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিভিন্ন প্রমাণ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
রোববার (২০ মার্চ) এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ডেমক্রেট দলীয় সিনেটর জেফ মার্কলে বলেন, “রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর বর্বরতাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় বাইডেন প্রশাসের প্রশংসা করছি। ঘোষণাটি দীর্ঘ সময় পর এসেছে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা এসেছে। এটা একটি শক্তিশালী ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই নিষ্ঠুর শাসকগোষ্ঠীকে জবাবদিহির আওতায় আনতে।”
এই মার্কিন সিনেটর বলেন, “এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে। এ ধরনের নৃশংসতা কখনোই মেনে নেওয়া হবে না, ধামাচাপা পড়ে যাবে না, সেটা যেখানেই ঘটুক না কেন। এটা স্পষ্ট করতে হবে মার্কিন প্রশাসনকে।”
২০১৭ সালে মিয়ানমারের দক্ষিণ পশ্চিমে মুসলিম সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের ওপর ব্যপক দমন-নিপীড়ন শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে।
পরে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনার প্রস্তাব করে জাতিসংঘ। সংস্থাটি শুরু থেকেই রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞ বলে আসছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এতদিন পর্যন্ত এ সহিংসতাকে গণহত্যা বলে স্বীকার করেনি।