মহামারির শুরুর পর থেকে একাধিকবার দৈনিক সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড গড়েছে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারত। তবে সরকারি তথ্য অনুযায়ী দেশটিতে করোনায় এ পর্যন্ত মোট ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৪৬৩ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে।
যদিও গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, এই সংখ্যা ৩০ লাখের বেশি। গবেষকদের দাবি, সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়েই ভারতে প্রাণ হারিয়েছেন ২৭ লাখ মানুষ। হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে প্রকাশিত হয়েছে এই তথ্য।
কানাডার সেন্টার ফর গ্লোবাল হেলথ রিসার্চের বিজ্ঞানীরা এই গবেষণা চালিয়েছেন। ভারতের জাতীয় সমীক্ষা ও দুটি সরকারি তথ্য ভাণ্ডারের তথ্য থেকে এই গবেষণা চালান তারা।
গবেষণা পত্রে তারা প্রমাণ দেখিয়েছেন করোনা আক্রান্তদের আসল মৃত্যুর সংখ্যা ৩০ লাখের বেশি। গবেষকরা জানান, ভারত সরকারের হেলথ ম্যানেজমেন্ট ইনফর্মেশন সিস্টেম থেকে করোনা মৃত্যুর হিসাবসংক্রান্ত সরকারি তথ্য পেয়েছেন তারা।
আর সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম থেকেও দেশটির মোট মৃত্যুর পরিসংখ্যান পেয়েছেন গবেষকরা। এই দুই তথ্যভাণ্ডার খতিয়ে দেখেই গবেষণা করা হয়েছে।
এছাড়া জাতীয় একটি স্তরেও সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সব মিলিয়ে গবেষণকেদর দাবি, ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট ৩১ লাখ থেকে ৩৪ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
২০২১ সালের এপ্রিল-জুলাই মাসে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ই প্রাণ হারিয়ে থাকতে পারেন ২৭ লাখের বেশি মানুষ। সেন্টার ফর গ্লোবাল হেলথ রিসার্চের পক্ষ থেকে জাতীয় স্তরে সমীক্ষা করেছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সিভোটার।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে থেকে ভারতের করোনায় আসল মৃত্যুর সংখ্যা সরকারি রিপোর্টের থেকে ৬ থেকে ৭ গুণ বেশি।
প্রাক-মহামারি সময়ের সঙ্গে তুলনা করে তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে যে ভারতের ২ লাখ হাসপাতালে মৃত্যুর হার ২৭ শতাংশ বেশি। আর সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের তথ্যে অনুযায়ী দশ রাজ্যে মৃতদের নাগরিক নিবন্ধনের হার ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল।