বুধবার (৮ ডিসেম্বর) হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে সস্ত্রীক নিহত হন ভারতের প্রথম প্রতিরক্ষা প্রধান বিপিন রাওয়াত। ১৯৭৮ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার পর থেকে একের পর এক সাফল্যের অর্জন রয়েছে তার ঝুলিতে।
সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালনের পর ভারতের তিন বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন বিপিন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে উঠে এসেছে তার গৌরবোজ্জ্বল জীবনের উপাখ্যান।
উত্তরাখণ্ডের পৌড়ীর রাজপুত পরিবারের ১৯৫৮ সালের ১৬ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন বিপিন। বাবা লক্ষ্মণ সিংহ রাওয়ত ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল। পারিবারিক রীতি মেনেই সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন রাওয়াত।
শিমলার সেন্ট এডওয়ার্ড স্কুলে পড়াশোনা শেষে পুনের খড়কভাসলার ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমিতে ভর্তি হন। এর পর ১৯৭৮ সালে দেহরাদূনে ইন্ডিয়ান মিলিটারি একাডেমিতে প্রশিক্ষণ শেষে ১১ গোর্খা রাইফেলস ব্যাটালিয়নে যোগ দেন।
কর্মজীবনের বড় একটি অংশ কাটে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাস দমন আর পাকিস্তানের হামলা প্রতিরোধে নেতৃত্ব দিয়ে। পেয়েছেন একাধিক সম্মাননা।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে উত্তীর্ণ হওয়ার পুনের দক্ষিণাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডের প্রধান হন। নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর ২০১৬ সালে নিযুক্ত হন সেনাপ্রধান পদে।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর অবসর নেওয়ার কথা থাকলেও মোদি সরকার সেনা বিধি সংশোধন করে সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার সর্বাধিনায়কের করেন বিপিনকে। অবসরের আগে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত হওয়ার কথা ছিল তার।