আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলের তিনটি জেলা বিদ্রোহীদের কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করেছে তালেবানবিরোধী বাহিনী। ভয়েজ অব অ্যামেরিকা, ওয়াশিংটন পোস্টসহ বেশ কয়েকটি মার্কিন গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে।
খবরে বলা হয়, আফগানিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত সরকারের অনুগত সশস্ত্র যোদ্ধারা কয়েকটি অঞ্চলে তাদের নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে শুক্রবার। ১৫ আগস্ট তালেবান বিদ্রোহীরা আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর এই প্রথম কোন এলাকার দখল হারাল।
ভয়েজ অব অ্যামেরিকা জানায়, সামাজিক মাধ্যমে তালেবানপন্থীরা উত্তর বাগলান প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ হারানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে। তারা জানায়, ঘোষিত সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা সত্ত্বেও ‘বিশ্বাসঘাতক’ সরকারি দলের সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে অন্তত ১৫ তালেবান যোদ্ধা নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছে।
তালেবানবিরোধী সশস্ত্র যোদ্ধাদের স্থানীয় কমান্ডার আবদুল হামিদ এক ভিডিও বার্তায় দাবি করেন, তার বাহিনী বাঘলান প্রদেশ দখল করার পর নিকটবর্তী আরেকটি জেলার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। পাল্টা আক্রমণের জন্য তালেবানও তাদের বাহিনীকে আন্দ্রাবে পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে।
যদিও এ ব্যাপারে এখনো কোন প্রতিক্রিয়া জানাননি তালেবান মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ ও বিদ্রোহী দল।
রোববার (১৫ আগস্ট) ২০ বছর পর আফগানিস্তানের ক্ষমতয়ায় ফিরে তালেবান। এরইমধ্যে বিদ্রোহীরা জানিয়েছে দেশটির পরিবর্তিত নাম হবে ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তান। আর গণতন্ত্র নয় ইসলামি শরিয়াহ আইনেই চলবে দেশ।
বিদ্রোহীদের হাতে কাবুলের পতনে আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন সারা বিশ্ব। যদিও সংবাদ সম্মেলনে তালেবান নেতারা জানান, আগের মতো কঠোর আর অসহিষ্ণু হবে না তালেবানের শাসন। সরকারব্যবস্থায় নারীদের যুক্ত করার পাশাপাশি তাদের অধিকার নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে গোষ্ঠীটি। একইসঙ্গে সংবাদমধ্যমকেও পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হবে।