যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও জার্মানি বিরোধিতা করলেও আফগানিস্তানে তালেবান সরকারকে মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দিল তিন পরাশক্তি চীন, রাশিয়া ও পাকিস্তান। দীর্ঘদিন ধরে পরোক্ষভাবে তালেবানকে সমর্থন দিয়ে আসলেও এবার খোলামেলাভাবেই এসব বিষয় সামনে আনল এই তিন দেশের সরকার।
সোমবার (১৬ আগস্ট) এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, অনেকেই অন্য সংস্কৃতির আদবকায়দা আয়ত্ত করে মজা পান। কিন্তু মনে রাখবেন, অন্যের সংস্কৃতি ঘাড়ের ওপর চাপিয়ে দেওয়াটা দাসত্বের সমান। দীর্ঘদিনের সেই দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে ফেলেছে আফগানরা।
রোববার কাতারের দোহায় তালেবান নেতাদের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রতিনিধিদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের ছবিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। এছাড়াও আফগানিস্তানের চীনা দূতাবাস জানায়, তালেবানের সঙ্গে চীন সরকার যোগাযোগ রাখছে। আফগানিস্তানের ক্ষমতায় বসলেও সম্পর্ক বজায় রাখবে চীনা দূতাবাস। রাশিয়ার দূতাবাসের পক্ষ থেকেও একই বক্তব্য দেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, তালেবানকে যুদ্ধে সহায়তা দিয়েছে চীন ও পাকিস্তান। জুলাইতে চীন সফর করে তালেবানের প্রতিনিধিরা। আর আফগান শান্তি প্রক্রিয়াতেও শুরু থেকেই সক্রিয় ভূমিকা রাখে রাশিয়া।
রোববার প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির সরকারের পতনের পর অনেক দেশই তালেবানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও নিজেদের সমর্থন স্পষ্ট রেখেছে চীন, রাশিয়া ও পাকিস্তান।