গত কয়েক মাস ধরেই বিশ্ববাজারে বৃদ্ধি পাচ্ছিল জ্বালানি তেল ও গ্যাসের মূল্য। এর মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ তেলের বাজারকে করে তুলেছে আরও অস্থির।
এমন পরিস্থিতিতেই তেল উৎপাদন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান আরামকো। আগের বছরগুলোর চেয়ে গতবছর কোম্পানিটি দ্বিগুণ লাভ করে। এরপর তেল উৎপাদনে বিনিয়োগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় কোম্পানিটি। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
১৪ বছরের মধ্যে বিশ্ববাজারে তেলের মূল্য এখন সর্বোচ্চ। চাহিদার চেয়ে তেল ও গ্যাসের সরবরাহ কমে গেছে। একারণে তেলের দাম বেড়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। এতে তেলের আরও সংকট তৈরি হয় বিশ্ব বাজারে।
এর প্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে সৌদি আরব সফর করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি রিয়াদকে স্বল্পমেয়াদে হলেও বিশ্ববাজারে অতিরিক্ত তেল সরবরাহের আহ্বান জানান। এরপরই জ্বালানি উৎপাদন বাড়ানোর ঘোষণা দিল সৌদি আরামকো।
কোম্পানিটি বলেছে, ২০২৭ সাল পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ১ কোটি ৩০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উৎপাদন করবে তারা। এখন দৈনিক গড়ে অপরিশোধিত তেল উৎপাদনের পরিমাণ এক কোটি।
এছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন ৫০ শতাংশ বাড়ানোরও ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরামকো। এবছর মূলধন ব্যয় বাড়িয়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছর যা ছিল ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজের (ওপেক) সদস্যদের ভেতর সৌদি আরব সবচেয়ে বেশি তেল উৎপাদন করে। তেলের উৎপাদন বাড়ানোর এমন ঘোষণায় বিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম কমবে বলে আশা করছে ওপেক।