দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’এ প্রথম প্রাণহানি ঘটেছে যুক্তরাজ্যে।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এই ধরনে দেশটিতে প্রথম একজন মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
পশ্চিম লন্ডনের প্যাডিংটনের কাছে একটি টিকাদান ক্লিনিক পরিদর্শনে গিয়ে বরিস জনসন বলেছেন, “হ্যাঁ, ওমিক্রনে লোকজন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এ সময় দেশে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।”
এর আগে গত ২৭ নভেম্বর যুক্তরাজ্যে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এই ধরনের বিস্তার ঠেকাতে দেশটিতে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন প্রশাসন।
রোববার (১২ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দেশটিতে করোনাভাইরাসের বুস্টার ডোজের কর্মসূচি ত্বরান্বিত করার ঘোষণা দিয়েছেন।
এছাড়া দেশটির প্রাপ্তবয়স্ক সব নাগরিকের জন্য ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেওয়া চলতি মাসের শেষের দিকে শুরু হবে বলে জানান তিনি।
ব্রিটেনে দৈনিক ১০ লাখ মানুষকে করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে ওমিক্রনে সংক্রমণের হার নিয়ে হুঁশিয়ার করে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ বলেছেন, ‘ওমিক্রন এমন হারে ছড়াচ্ছে যে করোনা মহামারিতে এর আগে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হইনি আমরা।’
বিবিসির তথ্যমতে, যুক্তরাজ্যে রোববার (১২ ডিসেম্বর) আরও ৪৮ হাজার ৮৫৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। ওইদিন দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ কোটি ৮১ লাখ ৯ হাজার ৫১৫ জন, আর মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪৩৯ জনের।
এর আগে ২০২০ সালে মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ কোটি ৮ লাখ ১৯ হাজার ৫১৫ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে মোট ১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৩৬ জনের।