ইসরায়েলের পর আরব সাগরে তেলবাহী ট্যাংকারে হামলায় ইরানকে দায়ী করল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব সোমবার (২ আগস্ট) এক বিবৃতিতে জানান, হামলায় এক বা একের অধিক ড্রোন ব্যাবহার করেছে ইরান। এটি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন বলেও মনে করছেন তিনি।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ইরানের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে জোর দাবি জানিয়েছেন। এমনকি এর জবাব দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। ব্লিংকেন বলেন, হামলার পিছনে যে ইরান দায়ী সে ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী যুক্তরাষ্ট্র। এর পাল্টা জবাবও দেওয়া হবে। বিবিসি জানায়, আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে দুই দেশই ইরানকে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত করেছে।
অন্যদিকে ইসরায়েলর তেলবাহী জাহাজে হামলায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান। এছাড়াও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিরাপত্তাহীনতা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাল্টা অভিযোগ করেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সায়িদ খতিবজাদেহ। অভিযোগকে ভিত্তিহীন আখ্যা দিয়ে ইসরায়েল মূল ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে বলে দাবি করেন তিনি।
এর আগে রোববার (১ আগস্ট) ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেত এ হামলায় ইরানের জড়িত থাকার ‘প্রমাণ’ রয়েছে বলে ক্ষোভ জানান। এরপরই আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
বৃহস্পতিবার আরব সাগরের ওমানের উপকুলে হামলার শিকার হয় এমভি মার্সার স্ট্রিট জাহাজটি। এতে জাহাজের ব্রিটিশ ও রোমানিয়ান দুই ক্রু নিহত হয়।