ক্ষমতা ছাড়ার পর থেকেই বেশ বেকায়দায় আছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। একের পর এক মামলা আর অভিযোগ আসছে সামনে। আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিয়ে তৈরি হয়েছে আশঙ্কা।
এরই মাঝে নতুন এক বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো। তাদের দাবি, ২০২০ সালের নির্বাচনে হেরেও ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছিলেন তিনি।
সেবছর ডিসেম্বরে হোয়াইট হাউজের জারি করা একটি তিন পাতার নির্দেশের খসড়া প্রকাশ করেছে তদন্ত কর্মকর্তারা।
এই নির্দেশনার মধ্যে ভোটের ফল প্রকাশের পর অবিলম্বে ভোট গ্রহণের সব সরঞ্জাম, সংরক্ষিত তথ্য ও নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করতে বলা হয়। যদিও ২০২০ সালের ১৬ ডিসেম্বর জারি করা নির্দেশে ট্রাম্পের কোন স্বাক্ষর নেই। তবে এই খসড়া নির্দেশনা প্রকাশ বন্ধের জন্য চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে ট্রাম্পের দলীয় কর্মীরা।
সুপ্রিম কোর্ট তাদের আবেদন খারিজ করে দেয়। হোয়াইট হাউজের সেই নির্দেশনায় ৫০টি প্রদেশের ব্যালট ‘পুনর্গণনার জন্য’ পরিকল্পনার ইঙ্গিত দিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। ইভিএম যন্ত্র বাজেয়াপ্ত করার অভিযোগ মোকাবেলায় আইনজীবী নিয়োগের কথাও বলা আছে সেখানে। হয়তো পরিকল্পনা সফল হলে বড় বিপদেই পড়তেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
নির্বাচনে পরাজয়ের পর ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলের হামলায় ইন্ধন দেওয়ার মামলা নিয়ে এমনিতেই বেকায়দায় আছেন রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন এসব কাণ্ডকীর্তির অভিযোগের প্রমাণ মিললে আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগও হারাতে পারেন তিনি।