২৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার, আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস। নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং নারীদের অধিকার রক্ষায় বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়। এই বছর দিবসটি প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ’।
১৯৬০ সালের ২৫ নভেম্বর ক্যারিবিয়ান দেশ ডোমিনিকান রিপাবলিকের স্বৈরাচারী সরকারবিরোধী মিরাবেল ভগ্নিত্রয়কে ধর্ষণ ও হত্যা করেন সেনাসদস্যরা। এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়। ১৯৮১ সালে লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় নারী সম্মেলন এই হত্যাকাণ্ডকে স্মরণ করে ২৫ নভেম্বরকে ‘নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিরোধ দিবস’ ঘোষণা করে। ১৯৯৩ সালে ভিয়েনায় বিশ্ব মানবাধিকার সম্মেলন দিবসটিকে স্বীকৃতি দেয়।
জাতিসংঘ দিবসটি পালনের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয় ১৯৯৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর। বাংলাদেশে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ দিবস উদযাপন কমিটি ১৯৯৭ সাল থেকে এই দিবস পালন করে আসছে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি উপলক্ষে নানা আয়োজন করা হয়। দিনটি উপলক্ষে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে নারী পক্ষের কার্যালয় থেকে মিছিল বের হবে। ‘প্রতিরোধের আগুন’ শিরোনামে মশাল মিছিল করা হবে। মিছিলটি সাতমসজিদ সড়ক, বঙ্গবন্ধু সড়ক ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ হয়ে সংসদ ভবনের সামনে শেষ হবে। এছাড়া লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যদিকে দিবসটি উপলক্ষে দেশজুড়ে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে ৯টি দাবি নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি করবে আরেকটি সংগঠন ‘আমরাই পারি’ জোট। সংগঠনটির পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
এছাড়া দিবসটির কর্মসূচি আয়োজনের অংশ হিসেবে আগামী ২৭ নভেম্বর ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট ‘নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও একসাথে’ স্লোগান সামনে রেখে জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন করেছে। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই আয়োজন চলবে।
এদিকে আগামী ২৮ নভেম্বর রোববার সিবিসিবি সেন্টারে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত এবং আমরাই পারি জোটের সঙ্গে সম্পৃক্ত শতাধিক শিক্ষার্থীকে নিয়ে স্টুডেন্ট চেঞ্জমেকার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।