অস্তিত্ব সংকটের সম্মুখীন হলে শুধুমাত্র তখনই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে রাশিয়া। এ ছাড়া পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগের কোনো ‘ইচ্ছে’ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নেই।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২২ মার্চ) ‘অত্যন্ত বিশ্বাসের’ সঙ্গে এসব কথা বলেন পুতিনের প্রধান মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
সিএনএনের সাংবাদিক ক্রিস্টিয়ান আমানপোর পেসকভের কাছে প্রশ্ন রাখেন, “ইউক্রেনে রুশ প্রেসিডেন্ট পারমাণিবক অস্ত্র ব্যবহার করবেন কি না’। জবাবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘‘অভ্যন্তরীণ ও জননিরাপত্তার ব্যাপারে আমাদের স্পষ্ট ধারণা রয়েছে। পারমাণবিক অস্ত্রের প্রয়োগের নীতিমালায় সেসব বিস্তারিত উল্লেখ করা আছে, চাইলে পড়ে দেখতে পারেন।”
পেসকভ বলেন, “আমাদের দেশের অস্তিত্বকে হুমকিতে ফেললে, নিয়ম অনুযায়ী পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা যেতে পারে।”
ক্রেমলিনের মুখপাত্র আরও বলেন, “রাশিয়ার নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের ইস্যুগুলো দশকের পর দশক ধরে এড়িয়ে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো। কয়েক দশক ধরে ইউরোপের কাছে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আমাদের উদ্বেগগুলো জানানোর চেষ্টা করছি। কেউ আমাদের কথা শোনেনি। প্রেসিডেন্ট পুতিন চান বিশ্ব আমাদের উদ্বেগের কথা শুনুক। তাই খুব বেশি দেরি হয়ে যাওয়ার আগে সামরিক অভিযান শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, যেন আমাদের সীমান্তকে রুশবিরোধীদের থেকে মুক্ত রাখা যায়।”
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ সামরিক বাহিনী। চলমান আগ্রাসনের মধ্যে দুইবার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের কথা স্বীকার করে রুশ বাহিনী।
এরপর মার্কিন গোয়েন্দারা দাবি করে, দুই দিনের মধ্যে কিয়েভ দখলের পরিকল্পনা করেছিল রাশিয়ান সেনারা। কিন্তু এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে মস্কো। রাশিয়া তাদের পূর্ববর্তী পরিকল্পনা থেকে সরে এসে নতুন পরিকল্পনা তৈরি করছে বলেও মার্কিন গোয়েন্দারা দাবি করছে।