মে মাসের ১২ তারিখ নিয়ে অঞ্জন দত্তের কালজয়ী গান ‘মালা, তুমি কে?’ প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় এ গান। নভেম্বরে বৃষ্টি এলে যেমন প্রাসঙ্গিক গানস অ্যান্ড রোজেসের ‘নভেম্বর রেইন’, তেমনি ১২ মে এলে আমাদের মনে পড়ে কলকাতার মৌলালির বস্তির নিবাসী এক মালার কথা। সমাজের নিচুতলা থেকে যার উত্থান। রূপ-যৌবন ভাঙিয়ে যে এখন ধনাঢ্য কারও ঘরনি।
পিটার সারস্টেডের ‘হোয়্যার ডু ইউ গো টু মাই লাভলি’ গানটির বাংলা সংস্করণ করেছেন অঞ্জন এই ‘মালা’তে। পিটারের সে গানটি ছিল মেরি নামের এক তরুণীকে নিয়ে। যার বাস ছিল ইতালির কোনো এক বস্তিতে। পরে তার ঠাঁই হয় বনেদিপাড়ায়।
জনশ্রুতি আছে, পিটার তার গান রচনায় অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন হলিউড নায়িকা সোফিয়া লরেনের জীবন থেকে। সোফিয়াই হয়তো কল্পিত ও খানিকটা সত্য মিলে মেরি হয়েছেন গানে। কিন্তু এর কোনো কিছুরই অকাট্য প্রমাণ নেই।
অঞ্জন দত্তের জীবনে এমন কেউ কি আসলেই ছিলেন? বাংলা আধুনিক গানের তারকা সংগীতস্রষ্টা এ নিয়ে কিছু প্রকাশ্যে আনেননি।
অঞ্জনের এ গানে ঢাকেশ্বরী শাড়ির উল্লেখ আছে। তেমনি আছে ইমরান খানের কথা। যিনি এ মুহূর্তে আছেন বিশ্ব গণমাধ্যমের আলোচনার কেন্দ্রে। প্রিন্ট-আকালের এখনকার দিনে মনে পড়ার মতো হয়ে আছে সানন্দার কথাও।
কল্পনা আর বাস্তবতার মিশেলে তৈরি হয় নতুন শিল্প। বছরের অন্য সময়ের মতো ১২ মের স্মৃতিবিজড়িত গানে আমাদের কৌতূহল ও বিস্ময় জাগে ‘মালা’ চরিত্র নিয়ে। মালা কি শুধুই রমণী? নাকি অঞ্জনের কণ্ঠ থেকে বের হওয়া মধ্যবিত্তের চিরায়ত আক্ষেপ?