শূন্যের শূন্য হৃদয় জেনে
শূন্য সংসারে সংখ্যাগুলো থাকতে
চাইল না
এক— লম্পঝম্প দিলো
দুই— চোখ তাতিয়ে সতর্ক করল
তিন— ছেড়ে গেল
চার— ভীষণ রকমের অকৃতজ্ঞ হলো
পাঁচ— চিৎকার করে অনার্য জন্মের পাপ
বোঝাল;
ছয়— কী এমন দুঃখ তোমার? চুপ করে থেকো না!
সাত— তোমার জন্মদাতা মসী পিতা ব্রহ্মগুপ্ত আর্যভট্ট কলঙ্ক ঘুচবে কবে?
আট— কিছু বলার নাই?
নয়— আমাদের দেনা মিটিয়ে দাও!
দশ— চলো শূন্যকে ছেড়ে যাই। সুযোগের আদালতে ভাইরাল রিট করে দিই।
—শূন্য ভারমুক্ত হলো।
ডানপিটে শূন্যস্মৃতির বৈলাম গাছের পাতাগুলো ঝরে গেল।
শুকনো গাছের মগডালে স্মৃতির ক্ষুধাতুর
কিছু কাক এখনও বসে কা কা করছে
—শূন্যকে ছেড়ে যেতে চাইছে না।
বট ঘুঘু, কাঠবেড়ালি, কাঠঠোকরা প্রজাপতি সংখ্যাগুলো অস্তিত্বের
জানান দিতে—
এদিক-ওদিক শূন্য হিয়াতে ভেসে চিৎকার করছে!
শূন্য জানে— সংখ্যায় সংখ্যালঘু নয়
চিরকালই জোড়।
সাবলীল অস্তিত্ব রয়েছে তার!
অহংকারী বিজোড় মোহ জঞ্জাল ধরে রাখা— তার কী বেশি দরকার?